গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে এবছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। তবে খাল-বিলে পানি না থাকায় ঠিকভাবে পাট পচাতে পারছেন না কৃষকেরা। এক পানিতে বারবার পাট পচানোর ফলে পাটের আঁশ ভালো হচ্ছে। ফলে দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন কৃষকরা।
পাট চাষিরা জানিয়েছেন, চলতি বছর এ অঞ্চলে বর্ষা সেভাবে হয়নি। ফলে পাট গাছ বড় হলেও পানির অভাবে গাছ পুড়ে যাওয়ায় অপরিপক্ক পাট কেটে ফেলতে হচ্ছে। সেইসঙ্গে খাল-বিল,ডোবা,নালায় পানি না থাকায় চাষিরা পাট পচাতে পারছেন না।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোষেরচর এলাকার পাট চাষি আক্কাস আলী, কালাচাদ বিশ্বাস,টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলি এলাকার পাটচাষী রহমান শেখ ও হবিবর মোল্লা জানান, অল্প পানিতে অনেক পাট পচানোর ফলে আঁশ কালো হয়ে যাচ্ছে। ফলে বাজারে আশানুরূপ দাম পাচ্ছেন না তারা। যে কারণে লোকসানে পড়ার আশঙ্কা রয়েছেন তারা।
বাজারে বর্তমানে ১৫০০-১৯০০ টাকায় প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে। তবে আঁশ ভালো না হওয়ায় ও কালো হয়ে যাওয়ায় পাটের দাম কমে যেতে পারে বলে মনে করছেন আড়তদাররা।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালকরমেশ চন্দ্র ব্রহ্ম বলেছেন,বর্ষার পানি না হওয়ার কারণে পাট ঠিকভাবে পচাতে না পারায় পাটের আঁশ খারাপ হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা চাহিদামতো দাম পাচ্ছেন না।
এবছর গোপালগঞ্জের ৫ উপজেলায় সাড়ে ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছিল। তবে কৃষি বিভাগের পরামর্শে পাট পচানো হলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপশি কৃষকরা তাদের চাহিদামতো দাম পাবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।
//এআরএইচ//