Ultimate magazine theme for WordPress.

দুর্ভোগে শেকৃবির আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা

0

কৃষিখবর প্রতিবেদক : বাংলাদেশের সুপ্রাচীন কৃষি শিক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)। কিন্তু শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত আবাসিক সুবিধা দিতে না পারায় গণরুমে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

বিভিন্ন হলে সিট সংকট বিগত কয়েক বছরে তীব্র আকার ধারন করেছে। আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ভর্তির পরপরই হলে সিট পাওয়ার কথা থাকলেও এখনও গণরুম ছাড়া হলে সিট পাওয়া যেন আকাশ কুসুম বা অসম্ভব কল্পনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা থাকলেও তা করতে ব্যর্থ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ছাত্রদের জন্য নতুন সিরাজউদ্দৌলা হল নির্মাণের কাজ শেষ হলেও প্রায় ২ বছর ধরে গণরুমে থাকা শিক্ষার্থীদের রুম দিচ্ছেনা হল প্রশাসন।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সবমিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মত। এর বিপরীতে তিনটি ছাত্র হল এবং দুইটি ছাত্রী হলে সিট রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজারের ও বেশি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সিট সংকটের পেছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ। সেশনজট, ছাত্রত্ত্ব শেষ হওয়ার পরও সিট দখল করে অবৈধভাবে হলে অবস্থান, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একাধিক সিট দখল করে থাকা, অনুষদ গুলোতে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি এরমধ্যে অন্যতম।এছাড়া সিট বন্টনে হল প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনহীনতা ও উদাসীনতাকে অন্যতম প্রধান কারণ মনে করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দুই বছর ধরে গণরুমে থাকা এক শিক্ষার্থী ইমরুল কায়েস জানান, গণরুমের অবস্থা এতই খারাপ যে বিচ্ছু এসে আমাকে কামড় দিয়ে যায়। বিচ্ছুর কামড়ের ফলে তাকে ২টা ইনজেকশন ও নিতে হয়েছে। বিশেষ দিনগুলো ছাড়া দেখা মিলেনা প্রভোস্টের, হলের সিট জানুয়ারী তে দেওয়ার কথা থাকলেও ভর্তিরপর দুইবছর চলে গেলেও হলে সিটের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেনা হল প্রভোস্ট।

ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি আবাসিক জেনেই সবাই ভর্তি হয় এখানে। কিন্তু ভর্তির পর দেখা যায় বিপরীত অবস্থা। ফলে উপায় না পেয়ে গণরুমেই কাটাতে হচ্ছে বছরের পর বছর। এছাড়াও সমস্যার অন্ত নেই ওয়াশরুম গুলোতে। একসাথে এতগুলো শিক্ষার্থী একরুমে থাকলে কিভাবে পড়াশোনা করা সম্ভব প্রশ্নটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের।

//এআরএইচ//

Leave A Reply

Your email address will not be published.