Ultimate magazine theme for WordPress.

অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলনে হুমকির মুখে ফরিদপুরের শত একর আবাদি জমি

0


চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সদরপুর ও চরভদ্রাসন দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা সদরপুর উপজেলাধীন আকোটেরচর ইউনিয়নের চর রামনগর গ্রামের বিস্তীর্ণ ফসলি মাঠে মাসের পর মাস ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন করে রমরমা বাণিজ্য করে চলেছেন স্থানীয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আ. কুদ্দুস ওরফে ভিপি কুদ্দুস (৩৫)। আ. কুদ্দুস চরভদ্রাসন সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ছিলেন। প্রভাব-প্রতিপত্তি ও পেশিশক্তির জোরে তিনি মাসের পর মাস উন্মুক্ত ফসলি মাঠ ধ্বংস করছেন বলে কৃষকরা অভিযোগ করেছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত চাষি আইয়ুব আলী (৫০) বলেন, সদরপুর উপজেলার শেষ প্রান্তে ফসলি মাঠের অবস্থান। দুর্গম এলাকা হিসেবে প্রশাসনের লোকজন এখানে আসেন না। স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তফশিলদার) অফিস ম্যানেজ করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রায় ৬ মাস ধরে অবাধে ফসলি মাঠ খনন করে মাটির ব্যবসা চালাচ্ছেন। এতে আশপাশের ফসলি জমিগুলো ভেঙে পড়ছে। কিন্তু অবৈধ ড্রেজারটি বন্ধ করার মতো কেউ নেই।

এ ব্যাপারে কুদ্দুসকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, আমার নিজ জায়গায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে গত কয়েক মাস ধরে মাটির ব্যবসা করে চলেছি। বর্তমানে উপজেলার রামনগর গ্রাম থেকে লোকমান খাঁর ডাঙ্গী গ্রামের খেয়াঘাট পর্যন্ত ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ২শ মিটার নির্মাণাধীন পাকা রাস্তায় তলদেশে ব্যবহৃত সব মাটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সদরপুর উপজেলার পিয়াজখালী গ্রামে তার মালিকানাধীন আরেকটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে ঠিকাদারি কাজের যাবতীয় মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

এ ব্যাপারে আকোটেরচর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (তফশিলদার) নিত্য গোপাল চক্রবর্তী বলেন, এই ইউনিয়নে আমার নতুন পোস্টিং হয়েছে। ড্রেজারের বিষয়টি আমার নলেজে ছিল না। সরেজমিন ঘুরে ব্যবস্থা নেব। একই অফিসের আরেক সহকারী তফশিলদার শাহাদাত হোসেন জানান, ফসলি মাঠের মধ্যে ড্রেজার মেশিনের ব্যাপারটি ইউএনওর সঙ্গে আলাপ করা হবে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গ্রামের ফসলি মাঠের মধ্যে প্রায় তিন বিঘা জমিজুড়ে কয়েক মাস ধরে দিনভর ড্রেজার মেশিন চালিয়ে গভীর খনন করা হয়েছে। এতে আশপাশের জমিগুলো ভেঙে পড়ছে এবং বর্ষা মৌসুমে প্রবল ¯্রােতে ফসলি মাঠের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ভিপি কুদ্দুস রাজনৈতিক ও পেশিশক্তি খাটিয়ে ফসলি মাঠে ড্রেজার মেশিনের সঙ্গে পাইপলাইন সংযোগ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাটির ব্যবসা করে চলেছেন। ফসলি মাঠের আরেক চাষি শাহজাহান শেখ (৪৭) জানান, আমরা গরিব মানুষ, আমাদের কথা কেউ শোনে না। ড্রেজার মেশিনটি বন্ধের ব্যবস্থা করে আমাদের কৃষি জমিটুকু রক্ষা করবে কে?
//এআরএইচ//

Leave A Reply

Your email address will not be published.