Ultimate magazine theme for WordPress.

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডির মান নেই: কৃষিমন্ত্রী

0

কৃষিখবর প্রতিবেদক : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ডক্টর অব ফিলোসফির (পিএইচডি) কোনো মান নেই বলে অভিযোগ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়টির পিএইচডি ডিগ্রির মান এত নিচু, সেটা চিন্তাই করা যায় না। আজ রবিবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জিএমও ক্রপস: পলিসি অ্যান্ড প্র্যাক্টিস ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জিএমও ক্রপস: পলিসি অ্যান্ড প্র্যাক্টিস ইন সাউথ এশিয়ার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নোবেল বিজয়ী রিচার্ড ডে রবার্ট। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ। সমাপনী বক্তব্য রাখেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আতিকুল ইসলাম।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জাবিতে কোর্স ওয়ার্ক নেই। সারা বছর ছুটি নিয়ে চার বছর ঘুরে বেড়ায়। তারপর জাবি থেকে একটা পিএইডডি ডিগ্রি দিয়ে দেয়। পিএইচডির কোনো মান নেই। আমার এত ভালো ধারণা ছিল জাবি সর্ম্পকে। সেখানে যে পিএইচডি ডিগ্রির মান এত নিচু, সেটা চিন্তাই করা যায় না।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্স ওয়ার্ক নেই। সেখানে কোর্স ওয়ার্ক করতে হবে। আমেরিকার অধিকাংশ ইউনিভার্সিটিতে অ্যাডুকেশন ডিপার্টমেন্ট আছে। তারা রিচার্স করে ছেলে-মেয়েদের কী কী পড়ালে ভালো হবে সেটা শেখায়। আমাদের দেশে সেটা হয় না। এ কোর্স ওয়ার্ক, সেমিস্টার ও গ্রেডিং সিস্টেম আমেরিকানরাই আনছে। এখনো জাবির পিএইচডির জন্য কোর্স করায় না।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) উদ্দেশ্যে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পড়াশোনার মান ভালো করতে হবে। আপনারা ছাত্র ভর্তি করছেন। অনেক টাকা পাচ্ছেন। ক্যাম্পাস বাড়াচ্ছেন। এত ক্যাম্পাস বাড়ানোর দরকার নেই। ভালো ফ্যাকাল্টি নেন। ক্যাম্পাস বাড়ানোর মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই। কত ভালো ছেলে-মেয়ে বের হলো, কত স্কিল নিয়ে সেটার ওপরে গুরুত্ব দেন।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি বলবো, আপনাদের পড়ালেখা অনেক ব্যয় বহুল। এখানে সব সম্পদশালীদের সন্তানরা পড়ালেখা করতে আসে। আপনারা যদি তাদের চাপ দেন, অবশ্যই ভালো করবে।

আমাদের ছেলে-মেয়েদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কমিউনিকেশন স্কিল কম। কমিউনিকেশন নিয়ে কোনো পাঠ্যবিষয় না থাকায় তারা কমিউনিকেট করতে পারছে না। দ্যাটস ইজ এ সিরিয়াস প্রবলেম। ইংলিশ ইজ নট এ ল্যাংগুয়েজ। ইংলিশ ইজ এ ইন্সট্রমেন্ট টু কমিউনিকেট। জাতি হিসেবে আমাদের যে সুযোগ ছিল তাতে আমরা অনেক ক্ষতি করেছি। ইংলিশ হচ্ছে আমাদের কমিউনিকেশন টুলস। এটা আমাদের বাচ্চাদের কিন্ডারগার্টেন থেকে শেখাতে হবে। কীভাবে প্রেজেন্টেশন দিতে হয়, স্লাইড তৈরি করতে হয়, সেগুলোর ওপর আপনারা জোর দেন।

বুয়েটের শিক্ষার মান নিয়ে কোনো সন্দেহ না থাকলেও বিশ্বের সেরা এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই। ১৬ কোটি মানুষের দেশে যারা বুয়েটে তারা বেস্ট অব বাংলাদেশ। গ্লোবাল পারসপেক্টিভে তারা শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ।

আমরা কেন পারছি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইবিএ খুবই ভালো। যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য বুয়েট এবং আইবিএ। এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থাকার পরও সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় না থাকা খুবই দুঃখজনক।
//এআরএইচ//

Leave A Reply

Your email address will not be published.