কৃষিখবর ডেস্ক : কুরবানির জন্য গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা ও উট কেনার কথা ভাবছেন অনেকেই। তাই পশু কেনার আগে কিছু বিষয়ে অবশ্যই জেনে নেওয়া ভালো। তা হচ্ছে- সুস্থ পশু আর পশুর প্রাপ্তিস্থান। তাই আজ সুস্থ পশু চেনার উপায় ও প্রাপ্তিস্থান সম্পর্কে জেনে নিন-
সুস্থ পশু চেনার উপায় : সুস্থ পশুর চোখ উজ্জ্বল ও তুলনামূলক বড় হবে। অবসরে জাবর কাটবে। কান নাড়াবে, লেজ দিয়ে মাছি তাড়াবে। বিরক্ত করলে সহজেই রেগে যাবে। গোবর স্বাভাবিক থাকবে, পাতলা হবে না। দেখতে প্রাণবন্ত, চামড়া ঝকঝকে দেখাবে। নাকের ওপরটা ভেজা ভেজা মনে হবে। খাবার এগিয়ে দিলে জিহ্বা দিয়ে তাড়াতাড়ি টেনে নেবে। মোটাতাজা করার ওষুধ দিলে শরীরে পানি জমে ফুলে ওঠে। আঙুল দিয়ে চাপ দিলে অসুস্থ পশুর শরীর দেবে যাবে। সুস্থ পশুর পানির প্রতি আকর্ষণ বেশি থাকে। সুস্থ পশুর পাঁজরের হাড়ে উঁচু-নিচু থাকবে। আড়াই থেকে তিন বছরের গরু ভালো।
সুস্থ পশুর প্রাপ্তিস্থান : বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও রাজধানীর আশপাশে বেশ কয়েকটি খামার রয়েছে। রাজধানীর কেরানীগঞ্জ, আটিবাজার, বেড়িবাঁধ, জিঞ্জিরা, হযরতপুরে প্রায় ৩শ খামার আছে। খামারিরা যে কোন স্থানে বিনামূল্যে গরু পৌঁছানোর সুবিধা দিয়ে থাকে। এখানে ভারত থেকে আমদানি করা হাসা জাতের গরু পাবেন। সিলেটের বড় শিংওয়ালা ফাইটার ষাঁড়, ভুট্টি গরুসহ দেশি গরুও রয়েছে। পাকিস্তানি শাহিওয়াল, পাকরা এবং নেপালি জাতের গরু পাবেন।
খামারের সুবিধা : খামারগুলোতে বিভিন্ন জাতের পশু রয়েছে। খামার থেকে গরুর ওজন মেপে কেনার সুবিধা রয়েছে। কেনার সময় নিজস্ব পশু চিকিৎসক পশু যাচাই-বাছাই করতে সাহায্য করবেন। বিক্রয়োত্তর চিকিৎসা সেবাও পাবেন। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসককে পারিশ্রমিক দিতে হয়। হাট-বাজারের চেয়ে তুলনামূলকভাবে দাম কম। ছোট ও মাঝারি গরু বেশি কিনতে পারবেন। দালালের খপ্পড়ে পড়ার ভয় নেই।
//এআরএইচ//