Ultimate magazine theme for WordPress.

চিকিৎসকের ‘ভুলে’ নড়াইলে ১২শ’ হাঁসের মৃত্যু

0

নড়াইল প্রতিনিধি : স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নে নড়াইল শহরের মহিষখোলা-আলাদাতপুর এলাকায় পাঁচ বন্ধু মিলে গড়ে তুলেছিলেন হাঁসের খামার। খামারে দুই হাজার হাঁসও তুলেছিলেন। আশা ছিল হাঁসের খামার ঠিকঠাক মতো দাঁড়ালে আরও কিছু কাজ করবেন তারা। তবে চিকিৎসকের ভুলের কারণে খামারের ১২০০ হাঁস মারা গেছে বলে অভিযোগ করেছেন খামারিরা। এতে পাঁচ বন্ধুর স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় কয়েকদিনের ব্যবধানে তাদের ১২শ’ হাঁস মারা গেছে। নড়াইল পৌরসভার আলাদাতপুর এলাকার গোলাম মোস্তফা চার বছর ওমানে থাকার পর দেশে ফেরত আসেন। বাড়ি আসার পর থেকেই বেকার বসেছিলেন। কী করা যায় তা নিয়ে বাল্য বন্ধু মঞ্জুরুল হক, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ইমরান শেখ, মিন্টু শেখের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। এক পর্যায়ে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেন বড় আকারে একটি হাঁসের খামার গড়ে তুলবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী মোস্তফার পতিত জমিতে খামার গড়ে তোলেন। খামারটি করতে তারা ধার-দেনাও করেন।

মঞ্জুরুল ও সেন্টু বলেন, “আমরা পাঁচ বন্ধু মিলে খামারের নাম দিয়েছি ‘ফ্রেন্ডস ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’। হাঁসের খামারে সফলতা হলে আরও বেশ কিছু কর্মকাণ্ড করার স্বপ্ন নিয়েই আমরা কাজ শুরু করি।গত ৬ মে নেত্রকোনা থেকে দুই হাজার হাঁসের বাচ্চা নিয়ে আসি। বাচ্চাগুলোর বয়স ২৬দিন হওয়ার পর ২/১টি বাচ্চা অসুস্থ হলে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মারুফ হোসেনের কাছে যাই। তিনি একটি অসুস্থ হাঁসের বাচ্চা পোস্টমর্টেম করে ওষুধ লিখে দেন। সেই ওষুধ খাওয়ানোর পর পুরো খামারে মড়ক শুরু হয়। হাঁসগুলো মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে ধীরে ধীরে মারা যেতে শুরু করে। ডাক্তার মারুফকে বিষয়টি জানালে তিনি ওষুধ পরিবর্তন করে দেন। পরের ওষুধ খাওয়ানোর পর কিছু হাঁস সুস্থ হয়।”

ইমরান শেখ ও মিন্টুর অভিযোগ, চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার জন্য খামারের ১২০০ হাঁস মারা গেছে। এ ব্যাপারে ডা. মারুফ বলেন, ‘খামারিদের প্রশিক্ষণের অভাব থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমার কাছে আসার পর একটি হাঁসের ময়নাতদন্ত করে ওষুধ দিয়েছিলাম। পরে অবস্থা আমাকে জানালে ওষুধ পাল্টিয়ে দেই। পরবর্তীতে ওই খামারের কেউ আর যোগাযোগ করেনি।’

নড়াইল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের (মহিষখোলা) কাউন্সিলর কাজী জহিরুল হক বলেন, পাঁচ বেকার যুবক হাঁসের খামার গড়ে তোলাতে আমার পক্ষে যতটুকু সাহায্য করা সম্ভব করেছি। মাঝে মধ্যে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। কিন্তু হাঁস মারা যাওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তারা। প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
//এআরএইচ//

Leave A Reply

Your email address will not be published.