Ultimate magazine theme for WordPress.

বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা মানতে চান না জেলেরা

0

কৃষিখবর ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে ২২ মে থেকে ৬৫ দিন সব ধরনের মৎস্য আহরণের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানতে চান না উপকূলীয় এলাকার জেলেরা। এই নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন তারা। গতকাল বুধবার উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট ও বরগুনায় মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়।

গতকাল দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে জেলা মৎস্যজীবী আড়ৎদার সমিতি ও ট্রলার মালিক সমিতির ব্যানারে মানববন্ধন ও সমাবেশে শত-শত জেলে, ট্রলার মালিক, ট্রলার শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা মৎস্যজীবী আড়ৎদার সমিতির সভাপতি এসএম আবেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার বিশ্বাস, ট্রলার মালিক মো. আক্কাস আলী, দুলাল বেপারী, শহিদুল ইসলাম, হানফ বেপারী ও ইব্রাহীম আমানী প্রমুখ।

বক্তারা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিদ্বান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, কাঠের ফিশিং বোট দিয়ে বঙ্গোপসাগরে জেলেদের ইলিশ আহরণ করতে দিতে হবে। মৎস্যজীবীদের বিকল্প ব্যবস্থা না করে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের আল্টিমেটাম দেন তার।

এদিকে বরগুনায়ও জেলেরা সরকারি নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ করেছেন। গতকাল পাথরঘাটা পৌর শহরের শেখ রাসেল স্কযার চত্বরে মানববন্ধনে অংশ নেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি, বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য আড়তদার সমিতি ও পাথরঘাটা বনিক সমিতিসহ মৎস্য ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার মানুষ। মানববন্ধন শেষে সব মৎস্যজীবী ও সংশ্লিষ্টদের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক দুলাল মিয়া, পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ালীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জাবির হোসেন, জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার, পাথরঘাটা উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির, অ্যাড. আবদুর রহমান জুয়েল, রোকনুজ্জামান রুকু, আকন মো. সহিদ, আবুল হোসেন ফরাজী, পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসেন, কালমেঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকন সহিদ, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বরগুনা জেলার প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ মাছ স্বীকারের উপর নির্ভরশীল। জীবিকার তাগিদে তারা জীবন বাজি রেখে মাছ স্বীকার করতে সাগরে ছুটে যান। আর এই জেলেরাই দেশের জিডিপিতে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে থাকেন। প্রতি বছর ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা, জাটকা ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও সরকার ট্রলিং জাহাজের সঙ্গে ২২ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যার কারণে পথে বসে যাবে হাজার হাজার জেলে ও ট্রলার মালিক এবং আড়তদার। এর ফলে এলাকার জেলেরা চুরি, ডাকাতি এবং বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়বে। তাই ৬৫ দিন অবরোধের প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। তা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ার দেন সংশ্লিষ্টরা।
//এআরএইচ//

Leave A Reply

Your email address will not be published.