Ultimate magazine theme for WordPress.

নাটোরে ৬১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ, ভালো ফলনের আশা

0

নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের সাত উপজেলায় এবারে ৬১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হাজার ৯৩৫ হেক্টর বেশি। আবহাওয়া এখন পর্যন্ত ধান চাষের অনুকূলে থাকায় ভালো ফলনের আশা করছেন চাষিরা। যদিও এরই মধ্যে দুইবার শিলাবৃষ্টি হওয়ায় আতঙ্কে আছেন কৃষকরা। তবে কৃষি বিভাগ বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবছর অধিক ফলনের আশা করছেন তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, গত বছর জেলার সাতটি উপজেলায় ৬১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছিল। এবার করা হয়েছে ৬১ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে। যদি এবার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২ হাজার ৭৪০ হেক্টর,নলডাঙ্গা উপজেলায় ৮ হাজার ৫৪৫ হেক্টর, সিংড়া উপজেলায় ৩৭ হাজার ১০০ হেক্টর, গুরুদাসপুর উপজেলায় ৫ হাজার ৫০০ হেক্টর, বড়াইগ্রাম উপজেলায় ৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর, লালপুর উপজেলায় ৯৭০ হেক্টর এবং বাগাতিপাড়া উপজেলায় ৬৩০ হেক্টর জমি। তিনি জানান, নাটোরে চাষাবাদ করা বোরো ধানের মধ্যে ২৮,২৯ ছাড়াও স্থানীয় মিনিকেট রয়েছে।

সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া মাঝপাড়া গ্রামের কৃষক জাকির জানান, তারা এবারে তিন বিঘা জমিতে ২৯ ধানের চাষা করেছেন। ধানগাছগুলো প্রায় ১ ফুট লম্বা হয়েছে। ধানগাছের অবস্থা ভালো। এমন থাকলে ভালো ফলনের আশা করছেন।

সিংড়া উপজেলার কলম এলাকার কৃষক দাউদার বলেন, প্রায় ৮ বিঘা জমিতে বর্গাদার বোরো ধানের চাষ করেছেন। এর মধ্যে ২৮ ও ২৯ ধান রয়েছে। সম্প্রতি শিলাবৃষ্টিতে ধানের ক্ষতি হলেও চারাগাছগুলো আবার ঠিকঠাক মতো বেড়ে উঠছে। আর বড় কোনও ধরনের প্রাকৃতিক সমস্যা না হলে তারা ভালো ফলনের আশা করছেন।

সদর উপজেলার বাকশোর এলাকার কৃষক মুনছুর রহমান জানান, এবারে তিনি তিন বিঘা জমি লিজ নিয়ে ২৯ ধানের চাষ করেছেন। সম্প্রতি শিলাবৃষ্টিতে ধানের জমির চারাগাছগুলোর কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে এখন আবার চারাগাছগুলো সজীব হয়ে উঠছে। শিলা বৃষ্টির ক্ষতিতে কিছুটা ফলন কম হতে পারে। গত বছর তিন বিঘা জমিতে তিনি ২৯ ধানের চাষ করেছিলেন। ফলন গড়ে ২০-২২ মণ ছিল।

বড়াইগ্রাম উপজেলার আগ্রাণ গ্রামের কৃষক আক্কাছ জানান, তিনি প্রায় ৫ বিঘা জমিতে ২৮ এবং ৬ বিঘা জমিতে ২৯ ধানের চাষাবাদ করেছেন। এখন পর্যন্ত চারাগাছের অবস্থা ভালো। গত বছর তিনি ২৮ ধান বিঘাপ্রতি ২৫-২৮ মণ এবং ২৯ ধান বিঘাপ্রতি ৩০-৩২ মণ ফলন পেয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত যে অবস্থা রয়েছে আর যদি কোনও প্রাকৃতিক সমস্যা না হয় তবে ভালো ফলন পাবেন।

এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি নাটোরে দু’বার যে শিলাবৃষ্টি হয়েছে তাতে ধানের ফলনে প্রভাব পড়বে না। এছাড়া এবছর ধানে বড় ধরনের ক্ষতি যেমন পোকার আক্রমণ হয়নি। তাই অন্য বছরের তুলনায় এবছর বেশি ফলন আশা করছেন তারা।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত বছর জেলায় বোরো ধানের ফলন হয়েছিল ২ লাখ ৮৮ হাজার ৮২৩ মেট্রিকটন। এবছর ফলনের হার আরও বেশি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
//এআরএইচ//

Leave A Reply

Your email address will not be published.