কৃষিখবর প্রতিবেদক : শীতে বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হতে পারে। প্রচন্ড ঠান্ডায় বোরো বীজের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে থাকে। এ থেকে বোরো বীজতলা রক্ষা করার জন্য ছাই ছিটানোর পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও ঘনকুয়াশা থেকে রোবো বীজের চারা রক্ষার জন্য আরো বেশ কিছু কৌশল রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেÑ প্রতিদিন সন্ধ্যায় বীজতলা পানিতে ডুবিয়ে দিয়ে পরদিন সকাল বেলায় সেই পানি বের করে দিতে হবে। এর ফলে সুস্থ, সবল ও সতেজ চারা পাওয়া যাবে। বীজ বপনের ৩-৪ দিন পর থেকে নালায় সেচ দিতে হবে এবং বীজতলার মাটি নরম রাখতে হবে। বোরো ধানের বীজতলায় দৈনিক সকালে অন্তত একবার দেখে আসতে হবে।
বোরো ধানের বীজতলার চারা হলুদ হয়ে গেলে চারা গজানোর ২ সপ্তাহ পর প্রতি শতাংশ বীজতলার জন্য ২০০-২৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। তারপরও চারা হলুদ থাকলে প্রতি শতাংশ বীজতলার জন্য ১০০ গ্রাম জিপসাম সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া প্রয়োগের পর চারা সবুজ না হলে বীজতলায় মাত্রা অনুযায়ী থিয়োভিট প্রয়োগ করতে হবে।
বোরো বীজের চারা রোগ দমনের জন্য অধিক শীত ও কুয়াশায় বীজতলায় মাত্রানুযায়ী মেনকোজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমন ডাইথেন এম ৪৫/ ইণ্ডোফিল এম ৪৫/ জ্যাজ ইত্যাদি ২ গ্রাম/লিটার পানিতে দিয়ে স্প্রে করতে হবে।
বীজতলা পাতা ঝলসানো রোগে আক্রান্ত হলে সকালে রশি টানা দিয়ে চারা থেকে কুয়াশার পানি ফেলে দিতে হবে। তারপর প্রতি শতাংশ বীজতলার জন্য ৫০ গ্রাম হারে পটাশ সার দিতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে,এই সময় ইউরিয়া সারের উপরি প্রয়োগ বন্ধ রেখে সেচের পানি বের করে দিতে হবে। পুনরায় এক সপ্তাহ পর সেচ দিতে হবে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় তাপমাত্রা ধরে রাখার জন্য বীজতলায় ছাই ছিটানো যেতে পারে।
বীজতলা থেকে চারা তোলার এক সপ্তাহ আগে অনুমোদিত হারে কীটনাশক ছিটানো যেতে পারে। এতে করে বীজতলার চারা পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে।
//এআরএইচ//
Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.
Next Post