Ultimate magazine theme for WordPress.

মাগুরায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে জারবেরা-গ্লাডিওলাস

0

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরায় শীতের সকালে প্রকৃতি যখন কুয়াশার চাদরে মুড়ে থাকে, তখন বাগানে উঁকি দেয় গ্লাডিওলাস ও জারবেরা ফুল। লাল, হলুদ, সাদা, গাঢ় লাল রঙের এসব বাহারি ফুল বাড়িয়ে দেয় প্রকৃতির সৌন্দর্যও।

বিদেশি এ ফুলের বাগান গড়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন মাগুরা পৌর এলাকার বেলনগর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার সেলিম শেখ। তার সফলতা দেখে গ্রামের প্রায় ২০ জন বেকার যুবকও এ ফুল চাষে ভাগ্য বদলে নিয়েছেন। স্থানীয়রা বলছেন, এ দু’টি ফুলের দেশের মোট চাহিদার বড় অংশের যোগান দেয় বেলনগর গ্রাম, যা নীরবে অর্থনীতির চাকাকে আরও সচল করছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুই একর জমিতে গড়া সেলিম শেখ জারবেরা ও গ্লাডিওলাস ফুলের বাগান। বাগানের দুই পাশে নানা রঙের ফুলে ফুলে উড়ছে রঙিন প্রজাপতিও। সেলিখ শেখ বলেন, ‘আমি সাত বছর ধরে এ ফুলের চাষ করছি। বিয়ে, জন্মদিন, পহেলা বৈশাখ, জাতীয় অনুষ্ঠান, বড়দিন ও নববর্ষসহ সব উৎসবে এ ফুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ঢাকার আগারগাঁওয়ে এ ফুল বিক্রি করি। প্রতি হাজার ফুল ১৫ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। আবার ১০০টি করে জারবেরা-গ্লাডিওলাস ফুলের তোড়া বেঁধে ৬০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়।’

সেলিম শেখের ফুলের বাগানে ১০ জন শ্রমিক কাজ করেন। বাজারে চাহিদার কথা মাথায় রেখে ভোর থেকে বাগানেই কেটে জারবেরা-গ্লাডিওলাস ফুলের তোড়া বাঁধেন তারা। বিকেল ৫টায় বাজারজাতকরণ পর্যন্ত কাজ করে প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে পান ওই শ্রমিকরা।

বেলনগর দক্ষিণপাড়ার আসলাম শেখ বলেন, ‘সেলিম শেখের সফলতা দেখে গ্রামের অনেক যুবকও ফুলের চাষে শুরু করেছে। সাত বছরে স্থানীয় কৃষকদেরও আগ্রহ বেড়েছে কয়েকগুণ।’

মাগুরা জেলা কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, বেলনগরে বাণিজ্যিকভাবে জারবেরা ও গ্লাডিওলাস ফুলের চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন সেলিম শেখ। তাকে দেখে আরও অনেক যুবক এগিয়ে এসেছে। ফুলের চাষ করে দেশের অর্থনীতির চাকা আরও সচল রাখছেন তারা। সত্যি সেলিম শেখ প্রশংসার দাবি রাখেন। আমরা তাকে সঠিক পরামর্শ ও বিভিন্ন সহযোগিতা করছি।
//এআরএইচ//

Leave A Reply

Your email address will not be published.