হরিণা ও চাকা চিংড়ি চাষে নতুন সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা
চিংড়ি চাষে প্রতিবন্ধকতা ও উত্তোরণের উপায় শীর্ষক কর্মশালা
বাগেরহাট প্রতিনিধি : বিশ্ব বাজারে বাগদা ও গলদা চিংড়ির চাহিদা কমে যাওয়ায় চাষিদের রক্ষার্থে প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া চাকা ও হরিণা চিংড়ি চাষে নতুন সম্ভাবনা দেখছেন গবেষকরা। গত ৫ ডিসেম্বর বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্র মিলানায়তনে চিংড়ি চাষে প্রতিবন্ধকতা ও উত্তোরণের উপায় শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় গবেষকরা এসব তথ্য উল্লেখ করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফএমআরটি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. গাউসিয়াতুর রেজা বানু, খুলনা মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ, পাইকগাছা লোনাপানি কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৈয়দ লুৎফর রহমান।
বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খান কামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এইচএম রাকিবুল ইসলাম, কর্মশালার বিষয় বস্তু সম্পর্কে আলোকপাত করেন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আমিরুল ইসলাম।
কর্মশালায় বক্তারা গলদা ও বাগদা চিংড়ির বিভিন্ন রোগ ও রোগের প্রতিরোধ সম্পর্কে ধারণা ও বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধিতে চাষিদের ঘেরের পানি, মাটি ও লবানক্ততা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সঠিকভাবে চাষের পরামর্শ দেন।
এছাড়া বিশ্ব বাজারে বাগদা ও গলদা চিংড়ির চাহিদা কমে যাওয়ায় চাকা ও হরিণা চিংড়ি চাষের বিভিন্ন ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন।
কর্মশালায় চিংড়ি চাষি, সাংবাদিক, চিংড়ি ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এফএমআরটি ডিসিপ্লিনের শিক্ষকরা অংশ নেন।
//এআরএইচ//