কৃষিখবর প্রতিবেদক : দেশে মৎস্য চাষে ব্যাপক সাফল্য সত্ত্বেও চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে মাছের খাবারের বাড়তি মূল্য মারাত্মক সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে যান চলাচল স্বাভাবিক না থাকায় দূরের খামারীদের মাঝে মাছের খাবার, মৎস্যজাত দ্রব্য ও পোনা সরবরাহ পড়েছেন ৬৪ শতাংশ কৃষক। ফলে ব্যাহত হচ্ছে মৎস্য উৎপাদন।
২০২০ সালের শুরু থেকে-২০২১ সালের চলতি এপ্রিল নাগাদ এই খাতে করোনার বিরুপ প্রভাব অব্যাহত আছে। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বেড়ে গেলে সঙ্কট ঘনীভূত হয়। ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাসে বেশির ভাগ প্রজাতির মাছের দাম কোভিড পরিস্থিতির আগের তুলনায় ৫ থেকে ১৫ শতাংশ কমে যায়। আর এপ্রিল-মে মাসটা ছিল দেশে তুলনামূলক বেশি করোনা সংক্রমণকালীন সময়। এই পরিস্থিতিতে ৩৭ শতাংশ কৃষকের ওই সময়টাতে তাদের ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ মূল আয় কমতে থাকে। ৫১ শতাংশ কৃষক এই সময়টাতে তাদের আয়-ব্যয় সমান্তরালে ১ থেকে ৫০ শতাংশ হয়, মাত্র ১০ শতাংশ তেমন ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হন নি।
করোনার প্রভাবে মাছ চাষীদের লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে নানা চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও মৎস্য খাত বাংলাদেশে এখনও ‘বড় সম্ভাবনা ও সুযোগ’ হিসেবে বিবেচিত।
গতকাল বুধবার বিকালে অনলাইনে অনুষ্ঠিত ‘অ্যাকুয়াকালচার সেক্টর স্টাডি বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা সমীক্ষা প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। বিজনেস কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান লারিভ ইন্টারন্যাশনাল ও লাইটক্যাসল পার্টনার্স যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে এই গবেষণা সমীক্ষা করা হয়। মাছ চাষী, বাজার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশী ৫০ জনের অধিক ব্যক্তির সাক্ষাতকার ও মতামতের ভিত্তিতে এই সমীক্ষা করা হয়। অনুষ্ঠানে মূল আলোচক ছিলেন বাংলাদেশন্থ নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়েজ, নেদারলান্ডস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ। আরও বক্তব্য রাখেন লারিভ ইন্টারন্যাশনালের ডিরেক্টর ম্যাথিয়াস বিনেন, লাইটক্যাসল পার্টনার্স- এর পরিচালক জাহেদ আমিন প্রমুখ।