পঞ্চগড় প্রতিনিধি : কথায় আছে দেশের মাটি সোনার চেয়ে খাঁটি, কিন্তু পঞ্চগড়ের মাটি নিয়ে কৃষকের বক্তব্য একটু আলাদা। পঞ্চগড়ের মাটি আসলেই খাঁটি। কারণ এ জেলার মাটি সাধারণত উঁচু, বেলে দো’আঁশ হওয়ায় অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি মসলা জাতীয় ফসল হলুদের চাষ হচ্ছে ভাল। এছাড়া উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় হলুদ চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে পঞ্চগড়ের কৃষকদের।
সরেজমিন পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় চাষিরা অন্যান্য কৃষিপণ্যের পাশাপশি স্বল্প পরিসরে হলেও চাষ করছেন মসলা জাতীয় ফসল হলুদ। হলুদের রং আকর্ষণীয় এবং গুণে মানে ভালো হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান চাষিরা।
দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার ইউনিয়নের হলুদ চাষি সুধীর চন্দ্র রায় বলেন, হলুদ উৎপাদনের খরচ কম এবং ভালো দাম পাওয়ায় অন্যান্য কৃষিপণ্যের পাশাপশি হলুদের চাষ করছি।
উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামের হলুদ চাষি সমসের আলী বলেন, অন্যান্য কৃষিপণ্যের পাশাপাশি হলুদ চাষ করে বর্তমানে আমরা যে টাকা পাচ্ছি তা অন্য ফসলের চেয়ে অনেক বেশি। এক বিঘা জমিতে ১০ হাজার টাকা খরচ করে হলুদের চাষ করলে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার হলুদ বিক্রি করতে পারছি। আশাকরি আগামী বছর আরো বেশি জায়গাজুড়ে হলুদের চাষ করবো।
দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এবছর পঞ্চগড় জেলায় মোট ১০৯৭ হেক্টর জমিতে হলুদ চাষ করা হলেও দেবীগঞ্জ উপজেলায় আবাদ হয়েছে ৫০৩ হেক্টর। আশা করা যাচ্ছে- আগামী বছরে উপজেলায় হলুদের চাষ আরো বাড়বে। কৃষি বিভাগ হলুদ চাষিদের সব রকম কৃষি পরামর্শ দিয়ে আসছে বলে জানান তিনি।
//এআরএইচ//