Ultimate magazine theme for WordPress.

বীজ আলু উৎপাদনে লাগবে টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরির নিবন্ধন

0

কৃষিখবর প্রতিবেদক : যেসব প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বীজ আলু উৎপাদন করবে, তাদেরকে আগামী বছর (২০২৪ সাল) থেকে টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরির নিবন্ধন নিতে হবে। এই নিবন্ধন ছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রত্যায়িত (সার্টিফায়েড) বীজ আলু উৎপাদন করতে পারবে না। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করতে এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ে টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি মূল্যায়ন কমিটির বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. সোহেলা আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমরা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নিয়েছি। ভাইরাসমুক্ত আলু বীজ উৎপাদনের জন্য এটি করা হচ্ছে। যাতে কৃষক পর্যায়ে মানসম্পন্ন বীজ নিশ্চিত করা যায়।’

তবে আগামী বছরের ঠিক কবে থেকে এ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হচ্ছে সেটা এখনো ঠিক হয়নি। শিগগির বৈঠক করে সেটি নির্ধারণ করা হবে বলে জানান ড. সোহেলা আক্তার।

আলু বাংলাদেশের ৩য় প্রধান অর্থকরী ফসল। দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য ঘাটতি পূরণে ও পুষ্টিহীনতা দূর করতে আলুর ভূমিকা অনস্বীকার্য। আলুর ফলন বাড়াতে মানসম্পন্ন বিশেষ করে রোগমুক্ত বীজ আলুর ব্যবহার অন্যতম ভূমিকা পালন করে। টিস্যু কালচারের মাধ্যমে রোগমুক্ত মানসম্পন্ন বীজ আলু উৎপাদনে দেশের আমদানি নির্ভরতা কমছে।

জানা গেছে, এ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হওয়ার পর প্রতিবছর টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি মূল্যায়ন কমিটি আলু মৌসুমের শুরুতে এবং শেষে কমপক্ষে দুইবার ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করবে। বীজ আলু উৎপাদনকারী টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরিগুলোকে নিবন্ধনের জন্য একটি অফিস আদেশ জারি করা হবে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মূল্যায়ন কমিটি বীজ আলু উৎপাদন সংশ্লিষ্ট টিস্যু কালচার ল্যাব পরিদর্শন করবে।

মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আইনগত ভিত্তির জন্য বীজ আইন ২০১৮ তে টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি নিবন্ধন অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বিষয়টি বীজ আইন ২০১৮ তে অন্তর্ভুক্ত করা হলে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে উৎপাদিত বীজের গুণগতমান বাড়াবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.