কৃষিখবর ডেস্ক : কৃষিপণ্য বিপণন সহায়ক তথ্যব্যবস্থাপনাকে আরও শক্তিশালী করার বাজার ব্যবস্থাপনা আধুনিকীকরণ লক্ষ্যে ডিজিটাল করে উৎপাদনকারীকে সুবিধা দিতে ‘জাতীয় কৃষি বিপণন নীতি’ প্রণয়ন করছে সরকার। এ লক্ষ্যে ‘জাতীয় কৃষি বিপণন নীতি-২০২২’-এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার (৯ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এটি নতুন বছর ২০২৩ সালের প্রথম এবং বর্তমান সরকারের ১০৮তম মন্ত্রিসভা বৈঠক। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিকালে সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, জাতীয় কৃষি বিপণন নীতিমালার মাধ্যমে মূলত বাংলাদেশের কৃষির উৎপাদন এবং এর প্রচলিত বাজারব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ করার চেষ্টা করা হবে। এ জন্য কিছু কৌশল বা লক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। কীভাবে কৃষিপণ্যকে বাজারমুখী করা ও উৎপাদনকারীকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা দেওয়া যায়, সেই সহযোগিতার বিষয়গুলো নীতিমালায় আনা হয়েছে।
কৃষি বিপণন নীতিমালায় কী কী সুবিধা থাকছে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কৃষিবিষয়ক ব্যবসায় বিক্রির সংযোগ বাড়ানো হবে, কৃষিপণ্য বিপণন সহায়ক তথ্যব্যবস্থাপনাকে আরও শক্তিশালী করা হবে এবং কমিউনিটিভিত্তিক, চুক্তিভিত্তিক, দলভিত্তিক বিপণন জোরদার করা হবে। এ ছাড়া কৃষি উপকরণের বিপণন ব্যবস্থাকেও সহজীকরণ ও আধুনিকায়ন করা হবে। কৃষিপণ্যের গুদাম ও সংরক্ষণাগার ব্যবস্থাপনায়
উন্নয়নসহ কৃষি বিপণন অবকাঠামোর উন্নয়ন করা হবে। কৃষির উন্নয়নের মাধ্যমে যুব উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব হ্রাসের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কৃষিব্যবস্থার মাধ্যমে নারী ক্ষমতায়নের সুযোগ তৈরি করা হবে।
মাহবুব হোসেন জানান, নীতিমালার অধীনে কৃষিবাজার ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটাল করা হবে। উন্নত গবেষণাগার, নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় করার জন্য সরবরাহ ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করা হবে। নিরাপদ কৃষিপণ্য উৎপাদনে উৎসাহিত করা, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের আমদানি ও রপ্তানি ব্যবস্থায় সহায়তা করা হবে।
তিনি বলেন, কৃষিপণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা বা সাপ্লাইচেইনের উন্নয়ন করা হবে। প্রক্রিয়াজাতকরণ কৃষিপণ্যের বিপণন সম্প্রসারণ করা হবে। কৃষিভিত্তিক শিল্প উন্নয়নে সহায়তা করা হবে। কৃষিপণ্যের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এ রকম মোট ১৯টি বিষয়ে নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হচ্ছে দেশের কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করতে হলে অবশ্যই একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করতে হবে। প্রক্রিয়াজাতকরণটি যাতে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের হয়, সে জন্য একটা নীতিমালা তৈরির নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।