Ultimate magazine theme for WordPress.

সারা বছর টাটকা থাকবে কসমিক-ক্রিস্প আপেল

0

কৃষিখবর ডেস্ক: শীতল পরিবেশে বছরখানেক তাজা থাকবে, স্বাদ ও পুষ্টিগুণ থাকবে অটুট, ‘কসমিক ক্রিস্প’ নামের সেই নতুন জাতের আপেল শিগগিরই বাজারে আসছে। উদ্ভাবকরা গত কয়েক বছর ধরেই এ দাবি করে আসছিলেন। গতকাল রবিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নতুন এসব আপেল পাওয়া যাচ্ছে। খবর বিবিসির।

হানিক্রিস্প ও এন্টারপ্রাইজ জাতের শংকরে পাওয়া এ আপেলটির পরীক্ষামূলক চাষ শুরু হয় ১৯৯৭ সালে, ওয়াশিংটনের স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। দুই দশক নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২০১৭ সাল থেকে ‘কসমিক ক্রিস্প’ আপেলের বাণিজ্যিক চাষের অনুমোদন মেলে। কৃষক ও ভোক্তাদের কাছে ‘সুস্বাদু, কচকচে, রসাল’ এ জাতকে জনপ্রিয় করতে কেবল প্রচারেই ১০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে বলে জানায় বিবিসি। ওয়াশিংটনের কৃষকদের আগামী দশক পর্যন্ত এ আপেলটি চাষে অনুমতি দেয়া হয়েছে। এই আপেলের অন্যতম উদ্ভাবক কেট ইভানস বলেন, এটা খুবই মুড়মুড়ে আপেল, অনেক সুস্বাদু। এর মধ্যে টক-মিষ্টির একটা চমৎকার ভারসাম্য আছে, এবং এটি বেশ রসাল।

আপেলের ভেতরটা অতি ধীরে বাদামি হবে। রেফ্রিজারেটরে ১০-১২ মাস সংরক্ষণের পরও এর খাদ্যমান থাকবে অনন্য। বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ শুরু হওয়ার পর ওয়াশিংটনজুড়ে এ ‘কসমিক ক্রিস্প’ আপেলের এক কোটি ২০ লাখের বেশি গাছ লাগানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অংশে নতুন এ আপেলের চাষাবাদে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আপেলের নতুন এ জাতের প্রথম নাম ছিল ডবিøউএ৩৮। গাঢ় লালের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সাদা দাগের কারণে এটি ‘কসমিক ক্রিস্প’ নামে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কলার পর সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ফলের নাম আপেল। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি আপেল উৎপাদিত হয় ওয়াশিংটনে। এ রাজ্যের কৃষকদের মধ্যে এর আগে আপেলের সবচেয়ে জনপ্রিয় জাত হিসেবে পরিচিত ছিল গোল্ডেন ডিলিশাস ও রেড ডিলিশাস। সা¤প্রতিক বছরগুলোতে এ দুটি জাত পিঙ্ক লেডি ও রয়াল গালার মতো জাতগুলোর কাছে ধরাশায়ী হয়ে পড়ছিল। ‘কসমিক ক্রিস্প’ ওই লড়াইয়ে সবাইকে পেছনে ফেলবে বলে আশা করছেন এর উদ্ভাবক ও চাষাবাদকারীরা।
//এআরএইচ//

Leave A Reply

Your email address will not be published.