Ultimate magazine theme for WordPress.

কৃষকরা ধান বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন : কৃষিমন্ত্রী

0

কৃষিখবর প্রতিবেদক : প্রান্তিক চাষিদের উৎপাদিত ধানের দাম বাড়াতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও তার প্রতিফলন বাজারে পড়েনি বলে স্বীকার করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘কৃষকেরা ধান বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সংসদ সদস্য মোজাফ্ফর হোসেনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এবার বোরো মৌসুমে উদ্বৃত্ত হওয়াতে ধানের চাহিদা কমে গেছে। দাম কমে গেছে। এদিকে দাম কমার পাশাপাশি উৎপাদন খরচও বেড়েছে। এজন্য আমরা ধানের দাম বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেই। তবে, তড়িৎগতিতে পদক্ষেপ নিলেও তার প্রতিফলন বাজারে খুব একটা পড়েনি। কারণ গুদামে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় প্রত্যক্ষভাবে চাষিদের থেকে ধান কেনা সম্ভব হয়নি।’

তিনি জানান, কৃষকরা ধান উৎপাদন করে ন্যয্যমূল্য পাবে না এটা হতে পারে না। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। ভবিষ্যতে পরিকল্পনা করছি সরাসরি চাষির থেকে ধান কিনবো। এজন্য চাষিদের তালিকা মৌসুমের অনেক আগেই করা হবে। এই লিস্ট স্থানীয় পর্যায়ে টাঙিয়ে দেওয়া হবে। আর এবার প্রকৃত চাষির থেকে ধান কেনা হয়েছে কিনা, মন্ত্রণালয় থেকে তা যাচাই করা হচ্ছে। কেনা না হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কৃষকদের তালিকার বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের জানিয়ে দেবেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ধান বিক্রির বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করছি। এটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। সরকার ধনী কৃষক, মধ্যম আয়ের কৃষক ও প্রান্তিক চাষিদের তালিকা তৈরি করবে। সরকার ধনী চাষিদের কাছ থেকে ২০ ভাগ ধান, মধ্যম আয়ের চাষিদের কাছ থেকে ৩০ ভাগ এবং প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে বেশির ভাগ ধান কিনবে। আশা করি এই পদক্ষেপ নিলে চাষিরা ধানের দাম আগের চেয়ে বেশি পাবেন এবং বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’

মজুরি খরচ বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ বেশি হচ্ছে উল্লেখ করে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা চাই কৃষক ন্যায্যমূল্য পাক। এটাই সরকারের নীতি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কৃষির যান্ত্রিকীকরণে যাব। ধান লাগানো ও ধান কাটার যন্ত্রের দাম অনেক বেশি। আমরা ধান লাগানো ও কাটার যন্ত্র কেনার ক্ষেত্রে কৃষকদের ভর্তুকি দেবো। এই মুহূর্তে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা উভয় সংকটে পড়েছি। আগে ধান উৎপাদন হতো না, দুর্ভিক্ষ হতো। এখন উৎপাদন বেশি হওয়ায় আমরা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি। আশা করি আমরা ভবিষ্যতে সমাধান করতে পারব।’
//এআরএইচ//

Leave A Reply

Your email address will not be published.