Ultimate magazine theme for WordPress.

রিং শাইন টেক্সটাইলের আইপিও আবেদনে সাড়া

0

কৃষিখবর প্রতিবেদক : অনেক দিন পরে আইপিও আসায় বেশ ভালো আবেদন চলছে। ভালো কোম্পানি হওয়ায় অনেকেই আবেদন করছেন। তবে তুলনামূলকভাবে আগের কোম্পানিগুলোর চেয়ে আবেদন বেশি জমা পড়ছে বলে দাবি করেন বিভিন্ন সিকিউরিটিস হাউসে কর্মরত ব্যক্তিরা। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আজ রবিবার সকালে বিভিন্ন সিকিউরিটি হাউসে গেলে তারা এমন মন্তব্য করেন।

রিং শাইন টেক্সটাইলস লিমিটেড আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংকঋণ পরিশোধ ও আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহে খরচ করবে। রিং শাইন টেক্সটাইলস লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) ২৫ আগস্ট শুরু হয়েছে, চলবে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এএফসি ক্যাপিটাল ও সিএপিএম অ্যাডভাইজরি লিমিটেড।

হ্যাক সিকিউরিটিসের একজন বিনিয়োগকারী রোববার সকালে ঢাকা ট্রেড সেন্টারে কথা হলে তিনি বলেন, পোশাক খাতের কোম্পানি না হয়ে পাওয়ার হলে আরো সাড়া ফেলত। তবে রিং শাইন টেক্সটাইলসও অনেক ভালো কোম্পানি। অন্য কোম্পানিগুলোর তুলনায় ভালো করতে পারে।

সিঙ্গাপুরের উদ্যোক্তাদের কোম্পানি রিং শাইন টেক্সটাইলস আইপিওর মাধ্যমে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করবে। এজন্য ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে পুঁজিবাজারে ১৫ কোটি সাধারণ শেয়ার ছাড়বে তারা।

বিডিবিএল সেন্টারে আয়শা আক্তার বলেন, ভালো করতে পারে আশগঞ্জ পাওয়ার। সরকারি কোম্পানি, উৎপাদন ভালো। তাই বলে রিং শাইন টেক্সটাইলস খারাপ করবে তা নয়। পোশাক খাতের সেরা ১০ কোম্পানির মধ্যে এটিও একটি হবে। তিনিও রিং শাইনে আইপিও আবেদন করেছেন বলে জানান। তবে আক্ষেপ করে বলেন, আমার একটি মাত্র বিও একাউন্ট। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আইপিও আবেদন করছি, আজো একটিও পাইনি। না পাওয়ার মূলে কারণ হলো- এক ব্যক্তির নামে-বেনামে একধিক হিসাব। তবে স্বচ্ছতার জন্য এগুলো বন্ধ করা দরকার।

রংপুর থেকে আসা মাহফুজার রহমান নামে একজন বিনিয়োগকারী বলেন, গত বৃহস্পতিবার তিনি আইপিও আবেদন করেছেন। তার পাশে থাাকা নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বিনিয়োগকারী বলেন, তিনি এখন পর্যন্ত ৭৬টি আবেদন সম্পন্ন করেছেন। তার বর্তমানে ১১০টি বিও হিসাব রয়েছে এবং সবগুলো তিনি পরিচালনা করেন। বিভিন্ন হাউসে তিনি প্রায় ১০ বছর আগে এসব খোলেন। বাজার বিপর্যয়ের কারণে পূর্বের তুলনায় বিও হিসাব তার অনেক কমেছে বা অনেকগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানিটির ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১ টাকা ৮৬ পয়সা। পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ১৭ পয়সা।

আইপিও প্রসপেক্টাস অনুযায়ী, কোম্পানিটি ১৯৯৮ সালে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। সাভারের গণকবাড়িতে ঢাকা রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) কোম্পানিটির কারখানা অবস্থিত। দেশের শতভাগ রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানাগুলোয় বিভিন্ন ধরনের ফ্যাব্রিকস ও ডাইড ইয়ার্ন সরবরাহ করে তারা।

আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত ১৫০ কোটি টাকার মধ্যে ৯৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা যন্ত্রপাতি ক্রয় বাবদ, ৫০ কোটি টাকা ব্যাংকঋণ পরিশোধ বাবদ আর ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহে খরচ করবে কোম্পানিটি।

ব্যাংকঋণের মধ্যে ঢাকা ব্যাংকের সাভার শাখার অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের ২৮ কোটি টাকা ও উরি ব্যাংকের ঢাকা শাখার ২২ কোটি টাকা আইপিও তহবিল থেকে পরিশোধ করা হবে। অর্থ হাতে পাওয়ার ১৮ মাসের মধ্যে আইপিও তহবিল ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে কোম্পানিটির। ৩০ জুন ২০১৮ পর্যন্ত কোম্পানিটির স্বল্পমেয়াদি ঋণের পরিমাণ ৩৭৯ কোটি টাকা।

২০১৮ হিসাব বছরে রিং শাইন টেক্সটাইলসের বিক্রি হয়েছে ৯৯৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭০৮ কোটি টাকার ইয়ার্ন ও ২৯১ কোটি টাকার পোলার ফ্লিস বিক্রি হয়েছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৫৫ কোটি টাকা। ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯৯ পয়সা।

আইপিও প্রসপেক্টাসে তিনটি পদ্ধতিতে কোম্পানিটির শেয়ারের ভ্যালুয়েশন করা হয়েছে। এর মধ্যে ইকুইটিভিত্তিক ভ্যালুয়েশনে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৩ টাকা ১৭ পয়সা, হিস্ট্রিরিক্যাল আর্নিংসের ভিত্তিতে ২৮ টাকা ৪৬ পয়সা ও সমজাতীয় শেয়ারের বাজারমূল্যের গড়ের ভিত্তিতে কোম্পানিটির শেয়ারের ভ্যালুয়েশন ৩২ টাকা ১১ পয়সা।
//এআরএইচ//

Leave A Reply

Your email address will not be published.