Ultimate magazine theme for WordPress.

সারা বছর রপ্তানি হবে কাঁঠাল

0

মাহবুবা আকতার : জাতীয় ফল কাঁঠাল রপ্তানি বাড়ছে। গতবছর ইউরোপ, আমেরিকা, ইতালি, গ্রিস, ফ্রান্স ও জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে ১০০০ টন কাাঁঠাল রপ্তানি করা হয়। এ বছর এ রপ্তানির টার্গেট ধরা হয়েছে দেড় হাজার টন। সারা বছর কাঁঠাল রপ্তানির জন্য এ ফলটির নতুন জাতও আবিস্কার করছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা। এছাড়া ভিয়েতনাম থেকেও আঠামুক্ত কাঠালের জাত আমদানি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

বর্তমানে যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, গ্রিস, জামার্নিসহ ইউরোপ বিভিন্ন দেশে এবং মধ্যপ্রাচ্যে কাঁঠাল রপ্তানি হচ্ছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে কাঁঠাল রপ্তানি হয়েছিলো ৮৩৫ দশমিক ০৭২ টন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০০৩ দশমিক ৪৩৭ টনে। এছাড়াও, গত বছরেই শুধু ইউরোপে কাঁঠাল রপ্তানি করা হয়েছে ৮০০ টন।

রপ্তানিপণ্য হিসেবে কাঁঠালের গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য স্থানীয় জাতের মৌসুমী ফল হিসেবে কাঁঠাল চাষের পাশাপাশি সরকার শীতকালেও কাঁঠালের প্রাপ্ততা নিশ্চিত করার চিন্তা করছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গত কয়েক বছর আগে এমন জাতের কাঁঠাল গাছ খুঁজে পায় রাঙ্গামাটিতে। তারপর সেখান থেকে ১৫০ চারা কলম করা হয়। পুষ্ঠির মান উন্নয়নে সারাবছর ফল উৎপাদন প্রকল্পের পরামর্শক এসএম কামরুজ্জমান বলেন, “যেহেতু শীতকালে ফল তেমন উৎপন্ন হয় না তাই আমরা সেসময় কাঁঠাল উৎপন্নের পরিকল্পনা করছি। এছাড়াও, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ভিয়েতনাম থেকে আঠা-মুক্ত কাঁঠালের জাত সংগ্রহ করেছে যা দেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা যাবে।

তিনি বলেন, আমাদের স্থানীয় জাতের কাঁঠাল ঘন-রসালো হয়। তাই আমরা বাণিজ্যিকভাব স্থানীয়জাতের কাঁঠাল চাষ করি না। আমরা স্থানীয় জাতটিকে সবজি হিসেবে ব্যবহার করতে পারি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঁঠাল রপ্তানি করতে পারলে তা দেশের রপ্তানি খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এতে আখেরে কাঁঠাল চাষীদের উপকার হবে। এখন কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে ফল ও সবজি হিসেবে। পশ্চিমের দেশগুলোতে ‘জ্যাকফ্রুট স্যান্ডউইচ’ জনপ্রিয় হওয়ায় সবজি হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে কাঁঠালের বাজার তৈরি হয়েছে। এ বাজার কাজে লাগাতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মত- কাঁঠালের বহুমু্খি ব্যবহার হলে বাংলাদেশ কাঁঠালের চারা বিক্রি করেও আয় করতে পারবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান বলেন, কাঁঠালের কোনো কিছুই ফেলা যায় না। কাঁঠালের মতো এতো বহুমুখি ব্যবহারযোগ্য কোনো ফসলের হয় না।

হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হান্নান বলেন, আসলে যে পরিমাণ কাঁঠাল রপ্তানি করা হয় তা পরিমাণ হিসাবে খুবই কম। তবে যদি কাঁঠালের কোয়া আলাদা করে রপ্তানি করা যায় তাহলে তা দেশের জন্যে সুখবর বয়ে আনবে।

তিনি জানান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাঁঠালের কোয়া নিয়ে কাজ করছে। আশা করছি, আমরা কোয়া রপ্তানি করতে সক্ষম হবো। সারা পৃথিবীতে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
//এআরএইচ//

Leave A Reply

Your email address will not be published.