চট্টগ্রাম অফিস : সাগরে মাছ ধরা বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আটকে বিক্ষোভ করেছে জেলেরা। আজ রোববার সকাল ১০টায় জেলে সম্প্রদায়ের কয়েকশ মানুষ ভাটিয়ারি টোল রোড এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান নেন বলে হাইওয়ে পুলিশ চট্টগ্রাম জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ জানিয়েছেন।
তিনি জানান, জেলেরা সড়কে অবস্থান নিলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুই পাশে আটকা পড়ে শত শত গাড়ি। পরে স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
সীতাকুণ্ডের (ইউএনও) মিল্টন রায় বলেন, “মাছ ধরা বন্ধের প্রতিবাদে জেলেরা সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেছিল। সাংসদ ও আমরা তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য জন্য জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলেছি। জেলে নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে আমরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৈঠকে বসব।”
গত ২০ মে থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সব ধরনের নৌযানের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করবে। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মাছ ও কাঁকড়াসহ কঠিন আবরণযুক্ত জলজ প্রাণীর (ক্রাস্টাসিয়ান্স) জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং মাছের মজুদ সংরক্ষণ, সুষ্ঠু ও সহনশীল আহরণ নিশ্চিত করার স্বার্থে ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর এসময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে।
উত্তর চট্টলা উপকূলীয় জলদাস সমবায় কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি উপেন্দ্র জলদাস বলেন, প্রতিবছর বড় ট্রলারে মাছ ধরা বন্ধ থাকলেও ছোট নৌকা দিয়ে জেলেরা উপকূলীয় অঞ্চলে মাছ ধরতে পারতেন। তবে এ বছর হঠাৎ করে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে করে আমরা কষ্টকর জীবনযাপন করছি।
“আমাদের সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্বাস দিয়েছেন। আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আমরা অবরোধ তুলে নিয়েছি। দুপুরে আমরা জেলা প্রশাসকের সাথে বৈঠকে বসব। ”
//এআরএইচ//