Ultimate magazine theme for WordPress.

ধান কেনায় আরও ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি বিএনপির

0

কৃষিখবর প্রতিবেদক : কৃষকের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৩৬ লাখ মেট্রিক টন ধান কিনতে আরও ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকারের প্রতি এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কৃষকের কাছ থেকে বেশি পরিমাণ ধান কেনার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত বরাদ্দ দাবি করছি। যা দিয়ে সরকার অতিরিক্ত প্রায় ৩৬ লাখ মেট্রিক টন ধান কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারে।’

উল্লেখ্য, এবারের বোরো মৌসুমে সরকার সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন ধান-চাল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবছর বোরো উৎপাদন ১ কোটি ৯৬ লাখ টন হয়েছে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

সরকার ধান- চাল সংগ্রহের মাধ্যমে দলীয় ব্যবসায়ীরা চাল কল মালিকদের মুনাফা পাইয়ে দিচ্ছে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাজার থেকে কম দামে ধান কিনে চাল কল মালিকরা চাল তৈরি করে সরকারের কাছে বিক্রি করে প্রতি কেজিতে মুনাফা করছে ১০ টাকা। আর কৃষক উৎপাদিত ধান বাজারে বিক্রি করে প্রতি কেজিতে লোকসান গুনছে ১০- ১২ টাকা।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বোরো ধানের উৎপাদন হবে প্রায় ২ কোটি মেট্রিক টন। আর সরকার সংগ্রহ করবে মাত্র ১৩ লাখ টন, যা উৎপাদনের মাত্র ৬.৫ শতাংশ। ধান অথবা চাল সংগ্রহের পরিমাণ কমপক্ষে বোরো উৎপাদনের ১৫ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছি।’

সরকার ব্যাংক লুটপাটকারীদের দুধকলা দিয়ে পুষছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে ব্যাংক ব্যবস্থায় খেলাপী ঋণের পরিমাণ প্রায় এক লাখ কোটি টাকা। অথচ এই খেলাপী ঋণের মাত্র ১০ শতাংশ বরাদ্দ দিলে সরকার আরও প্রায় ৩৬ লাখ মেট্রিক টন ধান কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারে। এতে দেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা উপকৃত হবেন।’

সরকারি পর্যায়ের ধান চাল গুদামজাতের ক্ষমতা প্রায় ২১.৮ লাখ মেট্রিক টন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কৃষকদের সহায়তা দিতে সরকারের সদিচ্ছা থাকলে বেসরকারি গুদাম ভাড়া করে সেখানে ধান চাল সংগ্রহ করতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর (সোশ্যাল সেফটি নেট প্রোগ্রাম) আওতা বাড়িয়ে অধিক পরিমাণ চাল বিতরণের ব্যবস্থা করতে হবে যেন কৃষকের উদ্বৃত্ত উৎপাদনের সদ্ব্যবহার করা যায়।’

খাদ্য বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা কৃষকের কাছ থেকে প্রতি কেজি চাল কিনতে ৩ থেকে ৫ টাকা করে ঘুষ নিচ্ছে বলেও দাবি করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি আরও বলেন, ‘দলীয় নেতাকর্মীদের পকেট ভারী করার জন্য তাদের ধান কেনার অনুমতি দিয়ে সরকার কৃষকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগানদাতা কৃষক পরিবারের অবস্থা আজ খুবই নাজুক ও দুর্বিসহ। কিন্তু কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত। দেশের প্রায় ১.৫ কোটি কৃষক পরিবারের আজ ত্রাহি অবস্থা।’
//এআরএইচ//

Leave A Reply

Your email address will not be published.