Ultimate magazine theme for WordPress.

কৃষিখাতে উন্নয়ন বাজেটের ৪০ শতাংশ বরাদ্দের দাবি

অধিকার আদায়ে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত লংমার্চের ঘোষণা

0

কৃষিখবর প্রতিবেদক : ব্যাংকগুলো থেকে ঋণের নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং পাচারের ঘটনায় সেভাবে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া না হলেও কৃষকের বিরুদ্ধে ঠিকই মামলা ও হয়রানির ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত জাতীয় বাজেটে কৃষিখাতে উন্নয়ন বাজেটের ৪০ শতাংশ বরাদ্দ ও ধানসহ কৃষি ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিতের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

সমাবেশ আন্দোলনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন নান্নু, বাংলাদেশ কৃষক ক্ষেতমজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক কমরেড অধ্যাপক আব্দুল সাত্তার, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজ্জাদ জহির চন্দন, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএমএ সবুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সাইফুল হক বলেন, ‘৫০০ কোটি টাকা ঋণের জন্য এক লাখ ৬৮ হাজার কৃষকের নামে সরকার মামলা দায়ের করেছে। সরকার বলে দেশে নাকি আইনের শাসন আছে। ব্যাংকগুলো থেকে প্রতিবছর লাখ লাখ কোটি টাকা চুরি হচ্ছে, ডাকাতি হচ্ছে এবং বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। কিন্তু, এদের কারও বিরুদ্ধে কোনও মামলা নাই, মামলা শুধু কৃষকের বিরুদ্ধেই হয়।’

তিনি কৃষকদের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা দ্রুত বন্ধ করার দাবি জানান। পাশাপাশি গ্রামের ক্ষেতমজুরদের রেশনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কৃষি প্রধান বাংলাদেশে কৃষকরা যদি না বাঁচে, তাহলে বাংলাদেশ বাঁচবে না। এই কথাটা সরকার বোঝে না। এখন তো আর ভোটের দরকার নাই। ৩০ ডিসেম্বর আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর ভোট তারা ২৯ ডিসেম্বর রাতেই দিয়েছেন।’

সমাবেশ থেকে বেশকিছু দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- জাতীয় বাজেটে কৃষিখাতে উন্নয়ন বাজেটের ৪০ শতাংশ বরাদ্দ করা; ধান-আলুসহ কৃষি ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত করা; ক্ষেতমজুরদের সারা বছর কাজ দেওয়া, দুস্থ ভাতা, কাবিখা, কাবিটা, ভিজিএ, বয়স্ক ভাতাসহ সকল প্রকার প্রকল্পের দুর্নীতি, অনিয়ম, লুটপাট, স্বজনপ্রীতি ও দলীয়করণ বন্ধ করা; খাস জমি উদ্ধার করে প্রকৃত ভূমিহীনদের নামে সমবায়ের ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া; ভূমি অফিস, তহবিল অফিস, সেটেলমেন্ট অফিস, পল্লী বিদ্যুৎ ও ব্যাংক ঋণের দুর্নীতি অনিয়ম বন্ধ করা; ১ লাখ ৬৮ হাজার কৃষকের নামে দায়েরকৃত সার্টিফিকেট মামলা ও ১২ হাজার কৃষকের গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার; কৃষি জমি অকৃষি খাতে ব্যবহার রোধ; দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জলাবদ্ধতা দূর করা ও লবণাক্ততা রোধে ব্যবস্থা নেওয়া; পাহাড় ও সমতলের আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া; নজিরবিহীন ভোট ডাকাতির নির্বাচন বাতিল করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচন দেওয়া।

সমাবেশ শেষে দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে সচিবালয়ের সামনে তাদের বাধা দেওয়া হয়। পরে ৫ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল অর্থমন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দেন।
//এআরএইচ//

Leave A Reply

Your email address will not be published.