হিলি প্রতিনিধি : হিলি দিয়ে আমদানি বেড়ে যাওয়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩ টাকা কমেছে। একসপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৭ টাকা থেকে ১৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের বাজারে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কমে যাওয়ায় বন্দর দিয়ে ১০ থেকে ১৫ ট্রাক করে পেঁয়াজ আমদানি হতো। তবে বর্তমানে চাহিদা বাড়ায় বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। ৩৫ থেকে ৪০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। বন্দর দিয়ে নাসিক ইন্দোর ও নতুন সুখসাগর জাতের পেঁয়াজ আমদানি বেশি হচ্ছে। আর আমদানিকৃত এসব পেঁয়াজের মধ্যে পুরানো নাসিক জাতের পেঁয়াজ পাইকারিতে ট্রাকসেলে বিক্রি হচ্ছে ১৩টাকা কেজি দরে। আর ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা থেকে ১২ টাকা কেজি দরে এবং নতুন সুখসাগর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭ টাকা ৮ টাকা কেজি দরে।
একসপ্তাহ আগেও এসব জাতের পেঁয়াজ ৩ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছিল। এদিকে বাংলা হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে পাইকারিতে দাম কমার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। বর্তমানে বাজারে আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ১৪ টাকা থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে। দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা থেকে ২০ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগে এসব জাতের পেঁয়াজ ৫ থেকে ৭ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি করেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক হারুন উর রশীদ হারুন জানান, সম্প্রতি দেশের বাজারে দেশীয় জাতের পেঁয়াজের সরবরাহ কমার কারণে বাজারে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা বেড়েছে। তবে সরবরাহ না থাকায় হঠাৎ চাহিদায় দাম কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল। তবে বাড়তি চাহিদার কথা বিবেচনা করে আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি বাড়িয়ে দেওয়ায় দাম কিছুটা কমে এসেছে।
//এআরএইচ//