Ultimate magazine theme for WordPress.

ইলিশসহ মৎস্য খাতের উন্নয়নে আন্তরিক সরকার: শিক্ষামন্ত্রী

জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন

0

চাঁদপুর প্রতিনিধি : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ইলিশসহ মৎস্য খাতের উন্নয়নে সরকার আন্তরিক। ইলিশ নিয়ে নিবিড় গবেষণা অব্যাহত রাখতে, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছর হতে ইলিশ নিয়ে গবেষণা জোরদারের বিষয়ে একটি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের আওতায় এটি চলছে। আশা করি, বিজ্ঞানীরা ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে আরও সচেষ্ট হবেন। আজ শনিবার দুপুরে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমিতে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই ) এর উদ্যোগে ‘ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে অভয়াশ্রমের প্রভাব, মজুদ নিরূপণ ও জাটকা সংরক্ষণে গবেষণা অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে কর্মশালার প্রধান বক্তা ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রইছউল আলম মণ্ডল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন— মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক, জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, নৌ পুলিশ সুপার মো. জমসের আলী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদ পারভেজ চৌধুরী। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম এবং মৎস্য অধিদফতরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের এবারের শ্লোগান ‘কোনও জাল ফেলবো না, জাটকা ইলিশ ধরবো না।’

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘ইলিশ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একক মৎস্য প্রজাতি। এটি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাছ, যা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্যের ভিত্তিতে, দেশে জাটকা রক্ষার্থে ইতোমধ্যে ছয়টি অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জাটকা সংরক্ষণ এবং ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে অভয়াশ্রমের প্রভাব সম্পর্কে আজকের কর্মশালায় গবেষণাভিত্তিক ফলাফল উপস্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া, ইলিশের সর্বোচ্চ প্রজনন মৌসুমে অর্থাৎ আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগের চারদিন, পূর্ণিমার দিন ও পূর্ণিমার পরের ১৭দিন অর্থাৎ মোট ২২ দিনের জন্য সারাদেশে ইলিশ আহরণ, সংরক্ষণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করে আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর ফলে বর্তমানে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে।

তিনি জানান, গত ১০ বছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ৭৮ শতাংশ। উৎপাদন বাড়ার এই ধারা অব্যাহত রাখাই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য ইলিশের মজুদ নিরূপণ ও সর্বোচ্চ সহনশীল আহরণ মাত্রা নিয়ে বিজ্ঞানীদের আরও নিবিড় গবেষণা পরিচালনা করতে হবে।
//এআরএইচ//

Leave A Reply

Your email address will not be published.