কৃষিখবর প্রতিবেদক : দেশে মোট ৩১৪ টি পাটকলের মধ্যে এখনো ৬৩ টি পাটকল বন্ধ রয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের এমপি তানভীর ইমামের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রীর দেয়া তথ্যমতে বাংলাদেশ গেজেট অতিরিক্ত ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই মোতাবেক দেশে বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারী পাটকলের সংখ্যা ২৭ টি। সম্প্রতি আরো ৬টি পাটকল পূণঃগ্রহণ করায় মোট জুটমিলের সংখ্যা হয়েছে ৩৩ টি। যার মধ্যে ৭টি মিল বন্ধ রয়েছে। আবার বেসরকারী পাট কলের সংখ্যা ২৮১ টি যার মধ্যে ৫৬ টি পাটকল বন্ধ রয়েছে।
জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙার এক প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জানান, ভারত সরকার বাংলাদেশের পাটপন্যের উপর আরোপিত এন্টি ড্যাম্পিং ডিউটি প্রত্যাহার না করায় এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কিছুটা ঋণাত্বক প্রভাব আমাদের পাটের বাজারে পড়েছে।
মন্ত্রী জানান, নতুন নতুন পাটজাত দ্রব্য উদ্ধাবনের লক্ষ্যে নানা ধরনের গবেষণা অব্যাহত রয়েছে। যেমন- পাট থেকে ভিসকস, পাট পাতা থেকে পানীয়, পাট থেকে পলিথিন ব্যাগের বিকল্প সোনালী ব্যাগ, পাটকাঠি থেকে চারকোল এবং জুট কম্পোজিট গার্মেন্টস- ডেনিম ইত্যাদি।
আহসান আদেলুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাট দিয়ে তৈরি সোনালী ব্যাগ এর প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে পাটকল কর্পোরেশনের তত্বাবধানে প্রতিদিন ১ লাখ সোনালী ব্যাগ তৈরির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এমপি আবদুল আজিজের এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম দস্তগীর গাজী জানান, গত অর্থ বছরে দেশে ৬ লাখ ১৮ হাজার ৬৩২ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদন হয়েছে। এ দেশে থেকে পাকিস্তান, ভারত, চীন, নেপাল, আইভরিকোস্ট, জিবুতি, ভিয়েতনাম, ব্রাজিল, আরসালভেদর, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, তিউনিশিয়া এবং জার্মানীতে পাট রপ্তানী করা হয়েছে।
//এআরএইচ//