Ultimate magazine theme for WordPress.

কক্সবাজারে নির্মিত হচ্ছে আধুনিক শুঁটকি মহাল

0

কৃষিখবর প্রতিবেদক : আগামী ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৪৫ একর জমির ওপর ২৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারের খুরুশকুলে একটি আধুনিক শুঁটকি মহাল ও ইটিপি স্থাপিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প ২-এর আওতায় এ কাজ বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)। চলতি ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

আজ বুধবার বিএফডিসির সম্মেলনকক্ষে বার্ষিক কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক এক পর্যালোচনা সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুকে এসব তথ্য জানানো হয়। বিএফডিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) দিলদার আহমদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুবল বোস মনি, জয়েন্ট চিফ লিয়াকত আলী প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

‘কক্সবাজার জেলার খুরুশকুলে একটি আধুনিক শুঁটকি মহাল ও ইটিপি স্থাপন প্রকল্প’ নামে এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে– পুনর্বাসিত পরিবারগুলোর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, ক্লাস্টারভিত্তিক সেমি-ইম্প্রুভড ও আধুনিক শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতি চালু করা, রাসায়নিক পদার্থ ও ধূলিকণামুক্ত শুঁটকির সরবরাহ নিশ্চিত করা, গুণগতমানসম্পন্ন কাঁচামাছ সংগ্রহের জন্য আধুনিক মৎস্য অবতরণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং শুঁটকিমাছের জন্য অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজার সৃষ্টি করা।

কক্সবাজারে আন্তর্জাতিকমানের বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প গ্রহণের ফলে ওই এলাকায় বসবাসরত পরিবারসমূহের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ থেকে খুরুশকুলে বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প নেওয়া হয়। আর পুনর্বাসিত পরিবারগুলোর কর্মসংস্থানের জন্যই এই আধুনিক শুঁটকি মহাল ও ইটিপি স্থাপনের কার্যক্রমও গ্রহণ করা হয়। আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ কর্তৃক ওই স্থাপনা দুটি বিএফডিসির মাধ্যমে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ায় একটি শুঁটকি মহাল ও ইটিপি স্থাপনের ডিপিপি তৈরির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

প্রকল্পের নির্মাণকাজের মধ্যে ৫০ টনের আইস প্লান্ট, মৎস্য অবতরণ ও প্রক্রিয়াকরণ শেড, ২ হাজার ৪৫০টি গ্রিনহাউস বেসড মেকানিক্যাল ড্রায়ার, ৫০টি সেমি মডার্ন মেকানিক্যাল ড্রায়ার ৫০০ ও ৩০০ টনের দুটি কোল্ড স্টোরেজ, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাব, ফিসমিল ও ফিস ওয়েল প্লান্ট ও মেশিন রুম নির্মাণ উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও ড্রাইফিস মার্কেট, মাল্টিপ্লেক্স বিল্ডিং, কনভেয়র বেল্ট (জেটি থেকে ল্যান্ডিং স্টেশন), ট্রাক পার্কিং, প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি, ইলেক্ট্রিক সাব-স্টেশন ও জেনারেটর হাউস, চারটি টয়লেট জোন, ইটিপি ও ডব্লিউটিপি স্থাপন এবং ২৪ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ রোড-নেটওয়ার্কও তৈরি করা হবে।

অন্যদিকে, এক হাজার ৮৬৮ কোটি সাড়ে ৮৬ লাখ ব্যয়ে মৎস্য অধিদফতরের আওতায় বাস্তবায়নাধীন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিসারিজ প্রকল্পে বিএফডিসির জন্য দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং চট্টগ্রাম মৎস্য বন্দর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের কাজ চলছে।
//এআরএইচ//

Leave A Reply

Your email address will not be published.