কৃষিখবর প্রতিবেদক : কক্সবাজারে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্প্যা লিমিটেড। পাঁচ তারকা হোটেলটির ছোট-বড় মিলে প্রায় ৪৫০টি আবাসিক কক্ষ রয়েছে।
কক্সবাজারের সাগরের কোল ঘেঁষে মেরিন ড্রাইভের লাগোয়া ১৫ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে পাঁচ তারকা হোটেল সী পার্ল। যাকে দেশের সবচেয়ে বড় হোটেল বলে দাবি করছে কর্তৃপক্ষ।
ইতোমধ্যে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলনের অপেক্ষায় রয়েছে। শিগগিরই কোম্পানিটি আইপিও অনুমোদন পাওয়ার আভাস মিলেছে। ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে বানকো ফিন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা কোম্পানিটি সম্পর্কে জানা গেছে, ‘রয়েল টিউলিপ সী পার্ল বিচ রিসোর্ট এ্যান্ড স্পা লিমিটেড’ নামের এই হোটেলে রয়েছে ৪৯৩টি কক্ষ। এতে নির্মাণ ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০০ কোটি টাকা অর্থায়ন করেছে দেশের ৯টি বেসরকারী ব্যাংক।
হোটেলটি উদ্বোধনকালে সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, এই মাধ্যমে কক্সবাজারে দেশী-বিদেশী পর্যটক আকৃষ্ট হবে। একই সঙ্গে আরও অনেক বেসরকারী বিনিয়োগ আসবে। এতে সাবেক পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, বেসরকারী বিমান চলাচল ও পর্যটন বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ফারুক খান, কয়েকজন স্থানীয় সংসদ সদস্য, স্বরাষ্ট্র সচিব ও স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইন্টারন্যাশনাল টাইম শেয়ারিংয়ের ভিত্তিতে হোটেলটিকে দেশের সবচেয়ে বড় হোটেল বলে দাবি করছে সী পার্ল কর্তৃপক্ষ। হোটেলটি আন্তর্জাতিক ‘লোভার গ্রুপ অব হোটেলসের’ গোল্ডেন টিউলিপ হসপিটালিটি ব্রান্ডের প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড রয়েল টিউলিপের সঙ্গে যুক্ত। গোল্ডেন টিউলিপ বিশ্বের ৪০টি দেশে এক হাজারের বেশি হোটেল পরিচালনা করছে। হোটেলের প্রতিটি কক্ষে ন্যূনতম চারজনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতি রাতের সর্বনিম্ন ভাড়া ৯ হাজার টাকা।
আধুনিক পর্যটনকেন্দ্রের সব সুযোগ-সুবিধা সংবলিত হোটেলটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- এখানে দুটো ‘প্রাইভেট বিচ’ আছে। একটি দেশী ও একটি বিদেশী পর্যটকদের জন্য সংরক্ষিত। হোটেলটির অন্যতম আকর্ষণ ডেসটিনেশন স্পা ও বিভিন্ন ধরনের খাবার। রয়েছে ট্র্যাডিশনাল থাই স্পা, নানা ধরনের এ্যারোমা থেরাপি। রয়েছে আইসক্রিম পার্লারসহ কন্টিনেন্টাল, প্যান এশিয়ান, ইতালিয়ান ও বাংলা ও সি ফুডের আটটি ভিন্ন স্বাদের রেস্তোরাঁ।
এছাড়া আছে বাংলাদেশের একমাত্র সানকিন বারসহ ইন্টারন্যাশনাল বার, লবি জুস বার ও ক্যাফে। হোটেলটিতে আছে ১০ হাজার বর্গফুটের ব্যাংকুয়েট হল- যেখানে দেশী-বিদেশী সম্মেলন ও অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যবস্থা রয়েছে। হোটেল নির্মাণে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
এর মধ্যে ২০০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে যোগান দেয়া হয়েছে। বাকিটা বহন করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আমিনুল নিজে। ৯টি বেসরকারী ব্যাংকের যৌথ ঋণের (সিন্ডিকেট লোন) মধ্যে ৯৭ কোটি টাকা অর্থায়ন করেছে ঋণের প্রধান আয়োজক (লিড এ্যারেঞ্জার) প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড।
বাকি ১০৩ কোটি টাকার অর্থায়ন করেছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক ও মধুমতি ব্যাংক। ইতোমধ্যে তা অনেকটা পরিশোধ করা হয়েছে। কক্সবাজার মূল শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরের ইনানী বিচে অবস্থিত এই পাঁচ তারকা হোটেলটি।
//এআরএইচ//