কৃষিখবর প্রতিবেদক : ধানের নতুন জাত ‘গোল্ডেন রাইস’ বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনসহ কয়েকটি সংগঠন। একইসঙ্গে দেশি জাতের বীজ রক্ষার দাবি জানানো হয়েছে। আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল আলম, ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর শাখার সভাপতি আবুল হোসাইন, শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এএএম ফোয়েজ হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ ইকবাল খান বলেন, ‘গোল্ডেন রাইস একটি জেনেটিক্যালি মডিফাইড ধান। বহুজাতিক কোম্পানির উদ্ভাবিত এই ধানে ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে, যা মানুষের পুষ্টির চাহিদা ও রাতকানা রোগ দূর করবে। কিন্তু এসব কোম্পানিগুলোর ভুল প্রচারণা।’
তিনি বলেন, ‘গোল্ডেন রাইসে অতিমাত্রায় সংক্রমণ ঘটে, যা আশেপাশের জমিতে ছড়িয়ে যায়। শুধু তাই নয়, এটি পানি, মাটি ও বায়ুর মাধ্যমে ক্রস পলিনেশন অথবা এক প্রজাতির পরাগ রেনু, যা আরেক প্রজাতির পরাগকে নিষিদ্ধকরণ করে।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ গোল্ডেন রাইস চালু হলে কৃষি ও কৃষকের চরম ক্ষতি হবে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে জিএমও বিটি চাষ করে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। অনেক কৃষক সেখানে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। সেখানে প্রায় ২৫ লাখ কৃষক আত্মহত্যা করেছে। এ ধান বাংলাদেশে চাষ করা হলে কৃষকের নিজস্ব বীজ সংরক্ষণ ও উৎপাদন প্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে ব্যাহত হবে।
সরকারের দৃষ্টি আকর্শন করে তারা কিছু দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো— বাংলাদেশে যেন গোল্ডেন রাইসকে প্রবর্তন না করা হয়, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় যেন গোল্ডেন রাইসকে ছাড়পত্র না দেয়; বিটি বেগুনের বাণিজ্যিক চাষাবাদ বন্ধ করতে হবে; পরিবেশ বিধ্বংসী ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোনও প্রকার ফসলের চাষাবাদ অনুমোদন দেওয়া যাবে না; অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশকনির্ভর ফসল চাষের অনুমোদন দেওয়া যাবে না।
//এআরএইচ//