Ultimate magazine theme for WordPress.

পদ্মা নদীতে আবারও মিললো মিঠা পানির কুমির

0

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের পদ্মা নদী থেকে বিলুপ্ত প্রজাতির একটি মিঠা পানির কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকারী দল কুমিরটিকে রাজশাহী থেকে বনবিভাগের নিয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলের দিকে পদ্মা নদীর কোলে জেলেদের জালে কুমিরটি ধরা পড়ে।

এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে পাবনার দোগাছি ইউনিয়নের চরকোমরপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে মিঠা পানির বিলুপ্ত প্রজাতির একটি কুমির শনাক্ত করে বনবিভাগ। তবে মঙ্গলবার ধরা পড়া কুমিরটি আগের কুমিরের চেয়ে ছোট।

পাবনা ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু সাইদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ভাঁড়ারা ইউনিয়নের দড়িভাউডাঙা গ্রামে পদ্মা নদীর কোলে একটি বড় আকারের কুমির দেখতে পায় গ্রামবাসী। স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে নিয়ে কুমিরটিকে ধরার উদ্যোগ নেই। সারাদিন চেষ্টার পর বিকেলের দিকে কুমিরটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

উদ্ধার হওয়ার পর জেলা প্রশাসন ও বনবিভাগকে বিষয়টি জানানো হলে সন্ধ্যার পরে রাজশাহী থেকে বনবিভাগের কর্মকর্তারা এসে কুমিরটিকে নিয়ে যান বলেও জানান চেয়ারম্যান।

পাবনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) জসিম উদ্দিন বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে বনবিভাগের মাধ্যমে কুমিরটি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বনবিভাগের কর্মীরা উদ্ধার হওয়া কুমিরটির সুশ্রুষা করছেন। এটি বিলুপ্ত প্রজাতির একটি কুমির। ঢাকায় নিয়ে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চরকোমরপুরে পদ্মা নদীতে আটকে পড়া কুমিরটিকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান ডিসি জসিম উদ্দিন।

বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, সামাজিক বনবিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা কুমিরটি উদ্ধার করেছি। কুমিরটি প্রায় সাত ফুট লম্বা। এটি স্বাদু পানির বিলুপ্ত প্রজাতির কুমির।

বর্তমানে বাংলাদেশে এ প্রজাতির কুমির সচরাচর চোখে পড়ে না। কুমিরটিকে গবেষণার করে পুনরুৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান এ বন কর্মকর্তা।
//এআরএইচ//

Leave A Reply

Your email address will not be published.