Ultimate magazine theme for WordPress.

মধ্যম আয় বাস্তবায়নে কৃষি জমি রক্ষা জরুরি

গোলটেবিল আলোচনায় অভিমত

0

কৃষিখবর প্রতিবেদক : বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে দেশের কৃষি জমি রক্ষা করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, কৃষকদের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষকদের হাতে প্রচুর পরিমাণে অর্থ না থাকলে স্থানীয় বাজার কখনও চাঙ্গা হবে না। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এএলআরডি আয়োজিত ‘কৃষি জমি সুরক্ষা: সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের অপরিহার্যতা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এ কথা বলেন।

মানবাধিকার কর্মী খুশী কবীরের সঞ্চালনায় আলোচনা অংশ নেন সাবেক বিচারপতি নিজামুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল আলম, এএলআরডি’র মুখপাত্র শামসুল হুদা, এএলআরডি’র পরিচালক কে মাসুদ আলী প্রমুখ।

অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘চালের দাম বাড়লে কখনও শ্রম মজুরি কমানো যাবে না। বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে দেশের কৃষি জমি রক্ষা করতে হবে। কৃষকদের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষকদের হাতে প্রচুর পরিমাণে অর্থ না থাকলে স্থানীয় বাজার কখনো চাঙ্গা হবে না। দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাস্তবায়নের জন্য কৃষি জমি এবং কৃষক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘দেশের কৃষি জমি এবং কৃষকদের বাঁচাতে হলে অবশ্যই আইন পাস করাতে হবে। প্রভাবশালীদের রুখতে আইন জরুরি। প্রকাশিত খসড়া আইনটি যাতে প্রভাবশালীদের পক্ষে না যায় এবং তারা যাতে লবিং করে বেশিদিন আটকে না রাখতে পারে, সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি রাখতে হবে।’

সাবেক বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, ‘কৃষি জমি নিয়ে সরকারের কাছে যে সব আপত্তি-অভিযোগ আছে, তা ভালোভাবে খতিয়ে দেখে একটি আইন পাস করা দরকার। কারণ, আইন না থাকলে কৃষি জমি বাঁচানো সম্ভব নয়। কৃষি জমি যারা নষ্ট করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। কিন্তু শক্ত আইন না থাকায় তা বাস্তবে রূপ নিতে পারছে না। আইন পাস হলে ভুমি খেকোদের বিরুদ্ধে মোকাবিলার জন্য অনেকেই এগিয়ে আসবেন।’

এএলআরডি’র মুখপাত্র শামসুল হুদা বলেন, ‘দেশের কৃষি জমি সুরক্ষা করতে না পারলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ব্যর্থ হবে। কারণ, প্রতিবছর কয়েশ একর কৃষি জমি শিল্প-প্রতিষ্ঠান এবং ইমারত নির্মাণসহ অনেক খাতে নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি সরকারসহ দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গুরুত্বসহকারে দেখবেন বলে আশা করছি।’

সাংবাদিক আবু সাঈদ বলেন, ‘রাজধানীর আশ-পাশের সব কৃষি জমি প্রভাবশালীরা কৌশলে দখল করে আবাসিক এলাকা তৈরির নামে গ্রাস করছে। এজন্য শহরের মানুষের কয়টি বাড়ি এবং ইমারত থাকবে তা আইন করে ঠিক করে দিতে হবে সরকারকে। নইলে কোনোভাবেই এ কৃষি জমি রক্ষা করা সম্ভব হবে না।’

এ কে মাসুদ আলী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচনি ইশতেহারে কৃষক এবং কৃষি রক্ষার জন্য যে ওয়াদা করেছে, তা বাস্তবায়িত করলেই দেশের কৃষি জমি রক্ষা পাবে।’ তিনি বলেন, ‘দেশবাসী আশা করছে, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু কৃষিবান্ধব তাই কৃষি জমি রক্ষা পাবে।’
//এআরএইচ//

Leave A Reply

Your email address will not be published.