কৃষিখবর ডেস্ক : বিশ্বব্যাংক দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ খাত উন্নয়নে ৫০ কোটি ডলার বা ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে । এ বিষয়ে বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরে-ই-বাংলা নগরের এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এক ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ডানড্যান চেন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
মনোয়ার আহমেদ চুক্তি শেষে সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা বেড়েছে। সার্বিকভাবে প্রাণিসম্পদ খাত উন্নয়নে এই প্রকল্প সহায়তা দেবে। তাছাড়া এ ধরনের প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের জন্য নিয়মিত বৈঠকসহ মনিটরিং করা হচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে ধীর গতিসম্পন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন বাড়াতে এবং প্রকল্প তদারকির ক্ষেত্রে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি কাজ করে যাচ্ছে।
এ চুক্তির বিষয়ে ডানড্যান চেন বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তাই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।
জানা গেছে, প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হলো সুষম খাদ্য এবং উন্নত স্বাস্থ্য ও প্রজনন সেবা দেওয়ার মাধ্যমে পারিবারিক পর্যায়ে গবাদি পশুর স্বতন্ত্র উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি। নিরাপদ প্রাণীজ উৎপাদন ব্যবস্থা, টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশ বান্ধব প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন, মার্কেট লিংকেজ উন্নয়ন, জ্ঞান প্লাটফর্ম এবং প্রাণিসম্পদ বিমা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং লজিস্টিক সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে আরও জানানো হয়, এই প্রকল্পের ৪টি ধাপ রয়েছে। এগুলো হলো প্রোডাক্টিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট, মার্কেট লিংকেজ অ্যান্ড ভেলু চেইন ডেভলপমেন্ট, ইমপ্রুভিং রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট রিজিলাইনস অব লিভসস্টোক প্রোডাকশন সিস্টেম অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট মনিটরিং এবং ইভালুয়েশন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
প্রকল্পটির বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৮০ কোটি ৩৬ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। সরকারি তহবিল থেকে ৩৯৪ কোটি ৬৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৩ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। আইডিএ এই প্রকল্পের জন্য ৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের দেওয়া ৫০ কোটি ডলার ঋণ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করা যাবে। উত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং ১ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।
//এআরএইচ//