কৃষিখবর ডেস্ক : সুপারি চাষ হয় কমবেশি সব জায়গাতেই। তবে সুপারির রোগ সম্পর্কে দেশে তেমন গবেষণা হয়নি। ফলে সুপারির ফলন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সুপারির ‘কুঁড়ি পচা’ রোগ তার মধ্যে অন্যতম। ফাইটোফথোরা পালমিভোরা নামক ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে। অনুকূল আবহাওয়ায় রোগের তীব্রতা বাড়তে থাকে। এতে গাছের কুঁড়ি মারা যায় ও ঝরে পড়ে।
লক্ষণ
১. রোগের আক্রমণে প্রথমে কুড়ি এবং কেন্দ্রস্থ পাতায় পচন দাগ দেখা যায়।
২. ক্রমান্বয়ে কেন্দ্রস্থ কোষে ছড়িয়ে পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত কুড়িটিকে মেরে ফেলে।
৩. অনেক সময় প্রথমে পাতায় বাদামি দাগের সৃষ্টি হয়।
৪. সেখান থেকে রোগ কেন্দ্রস্থ কুঁড়িতে ছড়িয়ে পড়ে।
৫. আক্রমণ বেশি হলে শেষ পর্যন্ত গাছটি মারা যেতে পারে।
প্রতিকার
১. মৃত গাছ, ফলপচা রোগে আক্রান্ত মোচা ও ফল সরিয়ে পুড়ে ফেলতে হবে।
২. আক্রমণের প্রাথমিক অবস্থায় রোগ সনাক্ত করতে হবে।
৩. সনাক্ত হলে আক্রান্ত স্থান কেটে ফেলতে হবে।
৪. কাটার পর প্রতি লিটার পানিতে ১০০ গ্রাম তুতে ও ১০০ গ্রাম চুন প্রলেপ দিতে হবে।
৫. আশেপাশের গাছগুলোতে নিয়মিত প্রতি লিটার পানিতে ১০ গ্রাম তুতে ও ১০ গ্রাম চুন দিতে হবে।
৬. প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে ছত্রাকনাশক মিশিয়ে ৭ দিন পর পর আগা ও পাতায় স্প্রে করতে হবে।
৭. প্রতিকার না পেলে আক্রান্ত গাছের মুকুট (ক্রাউন) কেটে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
৮. রাইনোসোরাস বিটল দমন করতে হবে।
//এআরএইচ//