Ultimate magazine theme for WordPress.

আলুর দাঁদ রোগ প্রতিরোধে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা

0


কৃষিখবর ডেস্ক
: আলুর দাঁদ রোগ ষ্ট্রেপ্টোমাইসিস ষ্কেবিজ (Streptomyces scabies) নামক জীবাণুর আক্রমণে হয়ে থাকে। এ রোগটি আলুর বীজ ও মাটি বাহিত একটি মারাত্মক রোগ। এই রোগে আক্রান্ত আলু কখনই বীজ আলু হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
অনুকূল আবহাওয়া ও রোগের উৎস: উচ্চ তাপমাত্রা এবং উচ্চ আর্দ্রতা এ রোগ বিস্তারে সহায়ক। কোন পোষক গাছ ছাড়াই এ রোগের জীবাণু মাটিতে পাঁচ (৫) বছরের অধিক কাল পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। সাধারণত গাছে টিউবার আসার সময় কম পক্ষে ৩০ দিন পর্যন্ত যদি জমিতে পর্যাপ্ত রস না থাকে অথবা আলু গাছের বয়স ৬৫ দিন পর যদি জমিতে অতিরিক্ত রস থাকে তাহলে এ রোগটি বেশি হয়। বিভিন্ন প্রকার ফসল যেমন মূলা, গাজর, শালগমে এই রোগের জীবাণু বহুদিন বেঁচে থাকে।
রোগের লক্ষণ : দাঁদ রোগের হালকা আক্রমণে আলুর টিউবারের উপরে উঁচু অমসৃণ বিভিন্ন আকারের বাদামী খসখসে দাগ পড়ে। আক্রমণ বেশি হলে পুরো টিউবারই দাগে ভরে যায় এবং অনেক সময় দাগগুলো দেবে যায়। রোগের আক্রমণ সাধারণতা ত্বকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।
সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাঃ রোগ প্রতিরোধী বা সহনশীল জাত যেমন- বারি আলু- ২৫, বারি আলু- ২৮, বারি আলু- ৩১, বারি আলু- ৩৪, বারি আলু- ৪১ ব্যবহার করা যেতে পারে। রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। জমিতে ইউরিয়া সারের পরিবর্তে অ্যামোনিয়াম সালফেট ব্যববহার করা যেতে পারে। তবে বেশি মাত্রায় নাইট্রোজেন সার কোনভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। সংরক্ষণের পূর্বে প্রতি লিটার হালকা গরম পানিতে ৩০ গ্রাম হারে বোরিক এসিড ব্যবহার করে বীজ শোধন করে করতে হবে। জমিতে হেক্টরপ্রতি ১২০ কেজি জিপসাম সার প্রয়োগ করতে হবে। সেচের তারতম্যের কারণে অনেক সময় দাঁদ রোগের সূচনা হয়। দাঁদ রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য আলু লাগানের ৩০-৩৫ দিন পর্যন্ত কোন অবস্থাতেই মাটিতে রসের যেন ঘাটতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আলুর টিউবার ধারণের সময় ৩৫-৫৫ দিন পর্যন্ত পর্যাপ্ত সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। আলু উত্তোলনের আগে মাটিতে বেশি রস থাকলে আলু দাঁদ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। গাছের বয়স ৭০ দিনের পর সেচ বন্ধ করতে হবে। বীজ আলু চাষের পূর্বে জমিতে সবুজ সার চাষ করতে হবে। শস্য পর্যায়ে জমিতে গম বা ডাল জাতীয় ফসল চাষ করতে হবে।
//এআরএইচ//

Leave A Reply

Your email address will not be published.