Ultimate magazine theme for WordPress.

প্রতিটি ডিমের মূল্য ১২ টাকা নির্ধারণ

0

কৃষিখবর প্রতিবেদক: প্রথমবারের মতো তিন কৃষি পণ্য আলু, পিয়াজ এবং ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনিশি এসময় জানান নির্ধারিত দামে এসব পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ছাড়াও কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করবেন। আইন অনুযায়ী দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভার সিদ্ধান্তসমূহ অবগতির লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও প্রেস ব্রিফিংকালে এসব পণ্যের দাম নির্ধারণের ঘোষণা দেন তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের আলোকে আলুর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৫-৩৬ টাকা, দেশী পিঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী প্রতিটি ডিমের মূল্য ১২ টাকা নির্ধারিত করা হয়েছে।

এছাড়া, প্যাকেটজাত সোয়াবিন ও খোলা সোয়াবিনের তেলের দাম ৫ টাকা কমিয়ে ১৬৯ ও ১৪৯ টাকা এবং পামওয়েলের দাম ৪ টাকা কমিয়ে ১২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

টিপু মুনশি জানান, উৎপাদক, পাইকারী এবং খুচরা পর্যায়ের খরচ ও মুনাফা বিবেচনায় নিয়েই এসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে কারো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই। যদি কেউ বেশি মুনাফা লাভের জন্য অবৈধভাবে পণ্য মজুদ রাখে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, ডিমের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এবং বাজারে যদি সেদামে বিক্রয় না হয় তাহলে আমরা ডিম আমদানির অনুমতি দিবো। প্রথমে সীমিত পরিমাণে আমদানির অনুমতি দেয়া হবে। এরপরও যদি দাম না নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে ব্যাপক আকারে আমদানি করা হবে। ডিম আমদানির জন্য মন্ত্রণালয়ে বেশ কিছু আবেদন এসেছে বলেও জানান তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আজকে না হলেও কাল থেকে অভিযান শুরু করবে। এছাড়া, সকল জেলার জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিকট কঠোর নির্দেশনা দেয়া হবে নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের জন্য। দেশের সর্বত্র মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে এবং আইন অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে।

ভারতে ইলিশ রপ্তানির বিষয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে টিপু মুনশি জানান, সারা বছর ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হয় না। পূজা উপলক্ষে ভারতীয় বাঙালিদের নিকট শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে দেশে যা উৎপাদন হয় তার সামান্য পরিমাণ রপ্তানি করা হয়। কি পরিমাণ রপ্তানি করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন চার থেকে পাঁচ হাজার টনের বেশি নয়।

এ সময়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন এবং ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.