Ultimate magazine theme for WordPress.

কৃষকের দুর্গতিতে সরকারের উচ্চ পর্যায় চিন্তিত : কৃষিমন্ত্রী

0

কৃষিখবর প্রতিবেদক : উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষি শ্রমিকের ‘ঘাটতির’ কারণে ধান চাষ করে কৃষকের লাভ হচ্ছে না বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চ পর্যায় ‘গভীরভাবে চিন্তিত’ জানিয়ে কৃষকের এই সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছেন তিনি। মন্ত্রীর মতে, কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং কৃষিপণ্যের বহুমুখীকরণ ও রপ্তানির মাধ্যমে এর বাণিজ্যিকীকরণ করতে পারলেই কৃষকের সমস্যা কেটে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল শনিবার বিকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কৃষক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মত প্রকাশ করেন। কৃষক লীগের সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী।

সরকার প্রতি মণ বোরো ধান ১০৪০ টাকায় কিনলেও কৃষক পাচ্ছে তার চেয়ে অনেক কম। এখন বাজারে ধানের মণ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, যেখানে ধান কাটার একজন শ্রমিককে দিতে হয় তার চেয়ে বেশি টাকা। ধানের দাম নিয়ে অসন্তোষ থেকে পাকা ক্ষেতে কৃষকের আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, কৃষকরা কি শুধু ধানের দাম পায় না? কৃষকরা যখন সবজি করে সবজির দাম পায় না। পত্রপত্রিকায় বহুবার এসেছে। সুদূর ঈশ্বরদী থেকে কপি নিয়ে এসেছে, কপির দাম পায় না। টমেটো বিক্রি হয় না, দুই টাকা কেজি টমেটো। দশটা ফুলকপি পাঁচ টাকায় বিক্রি হয়। কৃষকরা ট্রাক রেখে পালিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, গত বোরোতে অনেক ধান হয়েছে, আমনে আমাদের টার্গেট ছিল এক কোটি ৪০ লাখ টন, সেটা বেড়ে হয়েছে এক কোটি ৫৩ লাখ টন। ১৩ লাখ টন ধানের উৎপাদন আমাদের টার্গেটের চেয়ে বেশি হয়েছে। আলুর উৎপাদন আমাদের দরকার ৬০ থেকে ৭০ লাখ টন, সেখানে উৎপাদন হয়েছে এক কোটি তিন লাখ টন। ৩৩ লাখ টন আলু বেশি হয়েছে, চাষিরা বিক্রি করতে পারছে না।

ফসলের এই উৎপাদন বৃদ্ধি সরকারের কৃষিবান্ধব নানা কর্মকাণ্ডের জন্য সম্ভব হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যায় না এবং সেই শ্রমিক পাওয়া যায় না বলেই আজকে ধান করে মানুষের লাভ হচ্ছে না। এজন্য সরকার খুবই চিন্তিত। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীসহ আমরা চিন্তা করছি। আপনাদের শুধু বলতে চাই, খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশে যেখানে খাদ্য উদ্বৃত্ত করতে পারে, সেখানে আমরা রপ্তানি করলে কৃষক দাম পাবে। এই কৃষকের সমস্যা সাময়িক। এই সমস্যারও সমাধান আমরা করব।

কৃষকের সমস্যার সমাধাণের পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, কৃষিকে আমরা বাণিজ্যিক কৃষি করব, এই কৃষিকে আমরা বহুমুখী করব। শুধু ধান না অন্যান্য অর্থকরী ফসলের দিকে নিয়ে যাব। এই কৃষিকে আমরা যান্ত্রিকীকরণ করব। আজ শ্রমিক পাওয়া যায় না, শ্রমিক আর দরকার হবে না। এই যান্ত্রিকীকরণের জন্য আমরা ভর্তুকি দেব।
//এআরএইচ//

Leave A Reply

Your email address will not be published.