টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, ‘পরিবেশ অধিদফতর সরকারের আলাদা একটি সংস্থা। তাদের নিজস্ব গতিতে তারা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। পরিবেশ যেখানে বিঘ্নিত হয় সেখানে তারা আইন প্রয়োগ করে থাকে। সত্যিকার অর্থে যদি পরিবেশ রক্ষা করতে হয় তাহলে পরিবেশ পুলিশের প্রয়োজন আছে।’ আজ শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলে পুলিশ অফিসার্স মেস উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহাদুজ্জামান মিয়া, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় পুলিশ অফিসার্স মেস ছাড়াও গোপালপুর সার্কেল অফিস, সখীপুর এসআই কোয়াটার, মির্জাপুর এসআই কোয়াটার, পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল ডাক্তার ও নার্স ডরমিটরি, পুলিশ হাসপাতাল অপারেশন থিয়েটার, সাগরদিঘী তদন্তকেন্দ্র উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। বিকালে তিনি টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘যেখানে সেখানে রাস্তার আশে পাশে যে পরিমাণ ইটভাটা তৈরি হচ্ছে তাতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এক কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের সময় ৮-১০টা ইট ভাটা চোখে পড়ে। ইট ভাটাগুলো যেভাবে মাটির টপসয়েল নষ্ট করে জমির উর্বরতা ধ্বংস করছে, তাতেও আশেপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষি জমিতে কৃষি পণ্যের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। অপরদিকে ইটভাটার ধোয়ায় মানুষও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানে পরিবেশ অধিদফতরের পর্যাপ্ত পরিমাণ জনবল আছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। তবে এসব সমস্যার জন্য যদি পরিবেশ পুলিশ থাকতো তাহলে আমরা সঠিক দায়িত্ব পালন করতে পারতাম।’
তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি নদী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঢাকাসহ আশেপাশের নদীগুলোর পানিকে আর পানি বলা যাবে না। বুড়িগঙ্গার পানির কালার ও দুর্গন্ধের কারণে নদীর কাছে যেতে ইচ্ছে করে না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নদীগুলো নির্মল থাকে। নদীর পাড়গুলো এমনভাবে থাকে যেখানে মানুষ বেড়াতে যায়। উন্নত দেশের নদীগুলো সংরক্ষণ করা হয়। আমাদের এদেশেও সম্ভব। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। যারা নদীতে ময়লা আর্বজনা ফেলে তাদের নিষেধ করতে হবে। নদীকে সংস্কার করে যেভাবে ব্যবহার করা উচিত যেভাবে ব্যবহার করলে পরিবেশ বজায় থাকবে।’
//এআরএইচ//