কৃষিখবর প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। ফসলি জমি আমি নেবো না। আমাদের শিল্পায়ন যেমন দরকার তেমন-ই কৃষি জমিও লাগবে। মিরসরাই ইকোনমিক জোন চরাঞ্চলে হচ্ছে। সেখানে কোনো ফসলি জমি নেয়া হয়নি। ভবিষ্যতেও কোনো কার্যক্রমে ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। আজ বুধবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর’সহ ৬৫টি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী ও বসুন্ধরা গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মো. ফখরুদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেনের সঞ্চলনায় মীরসরাই প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এ সময় ফেনীর স্থানীয় সংসদ সদস্য লে. জে. (অব.) মাসউদ উদ্দিন চৌধুরী, ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান, দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও ফেনী অর্থনৈতিক জোন নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরসহ দেশব্যাপী ১১টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উদ্বোধন এবং ১৩টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনসহ ৬৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এরমধ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কতৃর্পক্ষ’র (বেজা) আওতাধীনে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১৬টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু, ২০টি নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন এবং ৫টি চলমান কাজের শুভ উদ্বোধন রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী পরে ভিডিও কনফারেন্সে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরী মিরেরসরাই, মেঘনা ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন, সোনারগাঁও নারায়ণগঞ্জ, মৌলভী বাজার শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল, সিটি ইকোনমিক জোন, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোন এবং মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় আব্দুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চল এর সঙ্গে সংযুক্ত থেকে স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন শ্রেনী পেশার জনগণ, উপকারভোগী এবং বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ফসলি জমি নষ্ট করবো না। মানুষের জন্য কাজ করি, সেই মানুষকে কষ্ট দেয়ার জন্য না। এক্ষেত্রে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাদের যেনো কষ্ট না হয়। সে দিকে নজর দিতে হবে। তাই জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে কি-না এ বিষয়ে নজর দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন তিনি।
যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ সঙ্গে সঙ্গে দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাদের জমির তিনগুন দাম দেয়া হচ্ছে। আর তারা টাকা তো পাবে-ই তাদের বিকল্প জায়গার ব্যবস্থাও করতে হবে। পাশাপাশি তাদের ছেলে-মেয়েকে ওইসব ইকোনমিক জোনের কোম্পানি-কারখানায় চাকরি দেয়ার ক্ষেত্রেও অগ্রাধিকার দেয়ার অনুরোধ করছি।
//এআরএইচ//