কৃষিখবর ডেস্ক : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই এবার হাঁটছেন ভারতের কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। লোকসভায় রাফাল নিয়ে সওয়াল খাড়া করলেও সভার বাইরে আচমকাই কৃষিঋণ মওকুফ করার দাবিতে মোদির উপর চাপ তৈরি করছেন তিনি। গত মঙ্গলবার সংসদভবন চত্বরে দাঁড়িয়ে মোদিকে লক্ষ্য করে হুমকির সুরে তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর রাতের ঘুম কেড়ে নেব। কৃষকদের ঋণ মকুব না করা পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদিকে নিশ্চিন্তে ঘুমতে দেব না।’
তিনি বলেন, কেবল আমরা কংগ্রেস একা নয়। কৃষক ইস্যুতে সমস্ত বিরোধী একজোট হয়ে মোদিজিকে চেপে ধরব। কৃষক ঋণ মকুব করতে বাধ্য করব। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ইস্যুতে বিরোধীদের সঙ্গে যৌথ কোনও কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেনি কংগ্রেস। তবে ভবিষ্যতে কৃষক ইস্যুতে গতবারের মতো বিরোধীরা একাট্টা হয়ে সংসদভবন থেকে রাষ্ট্রপতিভবন, মিছিল হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
রাহুল গান্ধী বলেন, গত চার বছরে গরিবদের থেকে সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীজি তাঁর পছন্দের কয়েকজন শিল্পপতির পকেটে পুরেছেন। কিন্তু কৃষকদের এক পয়সাও ঋণ মকুব করেননি। শিল্পপতিদের না দিয়ে এই টাকা যদি কৃষকদের জন্য খরচ করতেন, তাহলে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের সব কৃষকের ঋণই মকুব হতে পারত। একইসঙ্গে রাহুলের প্রশ্ন, রাজ্যে ক্ষমতায় এসেই আমরা যদি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কৃষকদের ঋণ মকুব করতে পারি, তাহলে মোদিজি কেন পারছেন না?
আক্রমণাত্বক রাহুলের অভিযোগ, কৃষকদের টাকা চুরি করে প্রধানমন্ত্রী অনিল আম্বানির ৪৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ মকুব করেছেন। রাফালের বরাত পাইয়ে দিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদি দেশকে দুটি চোখে দেখেন তোপ দেগে রাহুল বলেন, মোদিজির কাছে দেশ আসলে দুটি ভারত। একটি বড়লোক, তাঁর কাছের ১৫/২০ শিল্পপতির। অন্যটি গরিব, কৃষক, মজদুর। আমাদের কাছে দেশ সবার। তাই এই যে তিন রাজ্যে মানুষ মোদিকে হারিয়েছে, তা আসলে গরিব, কৃষক, মজদুর, আম আদমির জয়। সেই কারণেই নির্বাচনী প্রচারে যে কৃষি ঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তিন রাজ্যে ক্ষমতায় এসেই তা পালন করেছে কংগ্রেস। আগামী লোকসভা নির্বাচনেও এই ইস্যুকে তিনি চালিয়ে নিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
//এআরএইচ//